সব
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ক্লোজারে বেড়াতে এসে ফেনী নদীতে জোয়ারের পানিতে নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সকালে ওই নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
তারা হলেন- ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের হাবিব উল্যাহর ছেলে ওমান প্রবাসী আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২০)।
এর আগে শনিবার সকালে মুছাপুর ক্লোজার এলাকার ছোট ফেনী নদীতে বেড়ানে যান এই দুজন।
পরে পানির তোড়ে ভেসে যান তারা। বিকালে উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম স্বপনের (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি দাগনভুইয়া উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাগনভুইয়া উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের ২৫-২৬ জনের একটি দল শনিবার সকালে মুছাপুর ক্লোজারে বেড়াতে আসে। এদের মধ্যে ৭ জন শখ করে ছোট ফেনী নদীতে জাল দিয়ে মাছ শিকারে নামে।
হঠাৎ নদীতে ভাটার পর জোয়ার আসলে প্রচণ্ড ঢেউয়ে ৭ জনের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠলেও অপর তিনজন নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। বিকাল নাগাদ নিখোঁজ নজরুল ইসলাম স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর বলেন, ওই এলাকায় কোনো ধরনের জনসমাগম, গণপ্রবেশ ও বেড়াতে আসা নিষিদ্ধসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে মুছাপুর রেগুলেটরের সব গেট বন্ধ রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অননুমোদিত কথিত মুছাপুর ক্লোজার নামে পর্যটন কেন্দ্রে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বিকালে নৌকাডুবিতে মাদ্রাসার ছাত্রীসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।
এরপর ওই এলাকায় লোকজনের যাতায়াত নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি লকডাউন খোলার পর অর্থনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য তা আবারও চালু করে দেয় স্থানীয় অসাধু কয়েকজন অর্থলোলুপ ব্যক্তি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি