সব
সিলেটের বিয়ানীবাজারে চাকুরি ও টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শাহিনুর ইসলাম (৩৮) নামের এক প্রতারক।
নিজেকে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গত দেড় মাসে শতাধিক লোকজনকে প্রতারিত করে সে পালিয়েছে। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরি দেওয়ার নাম করে ১০ তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং একই কোম্পানি থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবীদের কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সে।
ভুক্তভোগীদের অনেকেই গত রোববার ঋণের টাকা নিতে এসে দেখেন বিয়ানীবাজার পৌরশহরের শহীদ টিলা এলাকার রুমি বেগমের ভবনের দ্বিতীয় তলায় কথিত যমুনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কার্যালয় বন্ধ। এসময় প্রতারক শাহিনুরের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি অনেকেই চেপে গেলেও বৈরাগীবাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ভুক্তভোগী ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ১৯ জুলাই শাহিনুর তার দোকান থেকে একটি টেবিল ক্রয় করে। কথার ফাঁকে নিজের পরিচয় ও কোম্পানির সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার কথা জানায়। ২০ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দিলে এক মাস পর ৫ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার বিষয়টি জেনে তিনি পরদিন শহীদ টিলার অফিসে গিয়ে টাকা জমা দেন। এক মাস পর গত রোববার ঋণের টাকা তুলতে এসে দেখেন কার্যালয় তালাবন্ধ।
প্রতারক শাহিনুর ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার কুশারিয়ার এলাকার মৃত শুক্কুর মাহমুদের ছেলে। গত জুনে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কার্যালয়ের জন্য বিয়ানীবাজার পৌরশহরের শহীদ টিলার রুমি বেগমের ভবনের দ্বিতীয় তলায় তিনটি রুম ভাড়া নেয় শাহিনুর। এ সময় সে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শঙ্কর কর বলেন, ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি