সব
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বড়ভাই কামরুল ইসলাম (২৪) কে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছোটভাই তানভির (১৭)।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক তানভিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত কামরুল মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের চান্দ আলীর ছেলে এবং ঘাতক তানভির তার আপন ছোটভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ছোট ভাই তানভীর (১৭) ও বড়ভাই কামরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তানভিরের দায়ের কোপে কামরুল ঘটনাস্থলে মারা যায়। এর ফাঁকে তানভির পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত কামরুল ইসলামের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই ঘাতক ছোটভাই তানভিরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রাখে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলা থেকে ঘাতক তানভিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ও ঘাতক- দুজনেই সহোদর। খুনের পর থেকেই ঘাতক তানভির পালিয়ে ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড়লেখা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনও কেউ মামলা দায়ের করেনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি