সব
সিলেটের বিয়ানীবাজারে ৭১তম ঐতিহাসিক নানকার কৃষক বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নানকার স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে নিরবতা পালন ও পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের লোকজন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রক্তক্ষয়ী এ আন্দোলনে শহীদ হওয়া কৃষকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ বেদিতে পুষ্প স্তবক প্রদান করে বিয়ানীবাজার পৌরসভা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বিয়ানীবাজার, তিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমান্ড, ছাত্র ইউনিয়ন বিয়ানীবাজার, শানেশ্বর গ্রামবাসী, উলুউরি সমাজ কল্যাণ সংঘ ও নানকার স্মৃতি পাঠাগার।
শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ শেষে বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমান্ডের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন তিলপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, কেতকি রঞ্জন দাস, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিয়ানীবাজার নিউজ২৪ সম্পাদক আহমেদ ফয়সাল, পৌর কাউন্সিলর আকছার হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা নানকার কৃষক বিদ্রোহের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা নানকার কৃষক আন্দোলনসহ বাঙালি জাতির সকল কৃষক বিদ্রোহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভূক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের শেকড় সম্পর্কে জানতে হবে, নতুন প্রজন্মকে তা জানাতে হবে। বক্তারা বলেন, পাক শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার খোরাক যুগিয়েছিলো নানকার কৃষক আন্দোলন। এসব আন্দোলন দৃষ্টির বাইরে রাখলে বাঙালির ইতিহাস ম্লান হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, সামন্তবাদী নানকার প্রথা বিলুপ্ত করতে বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের শানেশ্বর ও উলুউরি এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ এ আন্দোলন শুরু করেন। বিয়ানীবাজার থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন পরবর্তীতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট সোনাই নদীর তীরবর্তী শানেশ্বর-উলুউরি এলাকায় ইপিআর ও জমিদারদের লাঠিয়াল বাহিনীর আঘাতে শহীদ হয়েছিলেন ৬ কৃষক। তাদের আত্মদান ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনে ১৯৫০ সালে নানকার প্রথা রদ এবং জমিদারি প্রথা বাতিল করা হয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি