সব
সিলেটের বিশ্বনাথে যৌতুকের জন্য পাসন্ড স্বামী ও শশুর-শাশুড়ীর অমানবিক নির্যাতনে এক গৃহবধু হাসপাতালে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধু সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ নেতা ও নয়াসৎপুর গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে সেজি আক্তার (২০)।
শুক্রবার বিকেলে একই গ্রামের স্বামী সুজন মিয়া (২৫) এর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয় সেজি আক্তার। আহত অবস্থায় নিজ বাড়িতে গেলে তার দিনমজুর মাতা সাফিয়া বেগম (৪২) তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎস্যা করান। খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই থানা পুলিশের এসআই সঞ্জয় দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে এঘটনায় শনিবার স্বামী সুজন মিয়া, শশুড় জমসেদ আলী (৫৫) শাশুড়ি মতিরুন নেছা (৪৫) চারজনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মা সাফিয়া বেগম।
অভিযোগে সাফিয়া বেগম উল্লেখ করেন, স্বামী ফরিদ উদ্দিন মারা যাওয়ার পর দুই ছেলে ও চার মেয়ের সংসারে আহার যোগাতে তিনি সরকারিভাবে রাস্তায় মাটির কাজ করেন। সরকারি সড়কে মাটি কাটার কাজ করে ৫/৬মাস পূর্বে অভিযুক্ত সুজন মিয়ার সাথে মেয়ে সেজি আক্তারের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে নির্যাতন করে সুজন মিয়া। মেয়ের সুখের জন্য প্রায় সময় টাকা পয়সা দিতেন। একইভাবে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সুজন মিয়া তার মেয়েকে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে সিজি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী, শ্বাশুড়, শ্বাশুরি ও ননদ মিলে অমানবিক নির্যাতন করে। এর মাসখানেক পূর্বেও সেজি আক্তারকে নির্যাতন করে স্বামী সুজন মিয়া।
জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় লাল দেব ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন স্বীকার করে বলেন, দ্রুত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি