বিশ্বনাথে মেয়ে নিখোজের ঘটনায় সরকারী কর্মচারীসহ গ্রেপ্তার-২

কামাল মুন্না,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২০, ৩:৪২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

সিলেটের বিশ্বনাথে এক চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীর মেয়ে নিখোজের ঘটনায় সরকারী কর্মচারী রোজিনা আক্তার (৩০) সহ ২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দেবিদ্বার থানার গজারিয়া গ্রামের রাকিবুল ইসলামের স্ত্রী ও ছাতক উপজেলার সমবায় অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এঘটনায় অপর ব্যক্তি একই জেলার আশুগঞ্জ থানার ভবানীপুর গ্রামের মৃত আলমগীর সরকারের ছেলে ও তার (রুজিনা) ভাই রাজিব সরকার (২৫)। সোমবার সন্ধ্যায় মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবী করার অভিযোগে এ দুজনকে আটক থানা পুলিশ।
নিখোজ হওয়া নববধু কুহিনুর আক্তার আশা (২১) বিশ^নাথ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী রমজান আলীর মেয়ে। এঘটনায় সোমরাব রাতে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে বিশ^নাথ থানায় গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন ছাড়াও আরো ৩জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি অপহরন মামলা (মামলা নং-১৫) দায়ের করেছেন।

জানাগেছে, বিশ্বনাথ উপজেলা সমাজসেবায় নিরাপত্তা (নৈশ) প্রহরী কাজে প্রায় ২৩ বছর যাবৎ রমজান আলী নিয়োজিত রয়েছেন। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বনাথে জানাইয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ৫জুন তার ভায়রা-ভাই বি-বাড়িয়ার সরাইল উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রুহিদ মিয়ার ছেলে উমান প্রবাসী আলমগীর হোসেন সাথে পারিবারিকভাবে বড় মেয়ে কুহিনুর আক্তার আশার বিয়ে দেন।

রমজান আলী জানান, গত ১৯ জুন বাবার বাসায় স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন আশা। গত ৯ জুলাই সকাল ৯টায় দাত ব্রাশ করতে করতে বাসা থেকে বাহিরে গেলে আর বাসায় ফিরেনি। মেয়ে বাসায় না আসায় সম্ভাব্য স্থানে খুজে না পাওয়ায় রমজান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। নিখোজের একদিনপর ১১ জুলাই রুজিনা আক্তার রজমান আলীর বাসায় যান। এসয় রুজিনা রমজানকে বলেন আশা বিশ্বনাথে আছে। আশাকে উদ্ধার করতে হলে রজিনার পরিচিত জয় নামের একজনের সাথে দেখা করতে হবে এবং সেখানে রামজান আলী ও তার স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটের একটি রেস্টুরেন্টে যান রুজিনা। আশাকে তিন দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হবে বলে খরচপাতি হিসাবে রমজান আলীর নিকট থেকে ১৩হাজার টাকা নেন তিনি। পরে দুদিন পরে রজিনা বলেন জয় কোথায় চলে গেছে সময় লাগবে। তবে আশাকে উদ্ধার করতে র‌্যাবের দরকার আর খরচ হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা লাগবে এতে তার রমজান আলী অপরাগতা প্রকাশ করেন। আবার রুজিনা তার মেয়ের স্বামী আলমগীরকে বলেন তুমি খুব শতর্ক থাকিও নাহলে তাকে তুলে নিতে পারে অপহরণকারীরা। এতে মেয়ে অপহরণের ঘটনায় রুজিনা শতভাগ জড়িত রয়েছেন বলে আশার পিতা-মাতার অভিযোগ।

ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, মুক্তিপণ ও অপহরণ করায় মেয়ের বাবা মামলা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে তাদের ভাইবোনকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি