সব
সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যবসায়িক পার্টনারের বসতবাড়ির প্রধান গেট থেকে আরশ আলী (৪৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। আরশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাইয়াখাইড় গ্রামের মৃত আখলুছ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে আরশ আলীর ব্যবসায়িক পার্টনার একই ইউনিয়নের পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়ার বাড়ির সামনের গেটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের গায়ে পরিহিত হুডির (সুয়েটার) সামন দিক পিছন দিকে এনে চেন লাগানো ছিল।
এ মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও পরিবারের ধারণা আরশ আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এঘটনায় সন্দেহভাজন মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়া তারা দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীরা ও নিহতের শালা ময়নুল ইসলাম জানান, নিহত আরশ আলী প্রায় ২০ বছর যাবৎ বিশ্বনাথ উপজেলার দতা গ্রামে তার শ্বশুড় আব্দুল হান্নান এর বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করে গরুর ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার দুপুরেও ব্যবসার কাজে বেরিয়ে বিশ্বনাথ বাজারে যান। এরপর রাত ১১টায় তাকে (ময়নুল) মুঠোফোনে কল দিলে আরশ আলী জানান বিশ্বনাথ বাজার থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তিনি রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার মুঠোফোনে আবারও কল দেন, এসময় তারা ফোনসেটটি বন্ধ পান।
এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়ার বাড়ির সামনের পাকা গেইটের সাথে আরশ আলীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে। আমাদের পরিবারের দাবী কেউ পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
গরু ব্যবসায়ী আরশ আলীর লাশ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি