বিশ্বনাথে নিখোঁজ গৃহবধুকে উদ্ধার

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২০, ১:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোজ হওয়ার ১৫দিন পরে কোহিনুর আক্তার আশা (২১) নামের এক গৃহবধুকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জে সতেরধরিয়া এলাকা থেকে আশা ও তার সাথে থাকা শাওন মিয়াকে (২২) আটক করে বিশ্বনাথ পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত যুকব কমিরগঞ্জের সতেরধরিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। পরে শুক্রবার দুপুরে ওই ছেলেকে আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর আশাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনায় গত ২০ জুলাই র‌্যাবের নামে মুক্তিপণ দাবী ও অপহরণের দায়ে ছাতক উপজেলা সমবায় অফিসের এমএলএসএস রুজিনা আক্তার (৩০) ও তারই ভাই জেলা সমবায় অফিসের এমএলএসএস রাজিব সরকারকে (২৫) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে।

জানাগেছে, বিশ্বনাথ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের নৈশপ্রহরি রমজান আলীর বড় মেয়ে কোহিনুর আক্তার আশাকে গত ৫ জুন গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আলমগীর হোসেন নামের নিকটাত্মীয়ের সাথে বিয়ে দেন।

গত ১৯ জুন স্বামীসহ বিশ্বনাথে বাবার ভাড়াটিয়া বাসায় আসেন আশা। এরপর গত ৯ জুলাই সকালে কোহিনুর বাসা থেকে নিখোঁজ হন। পরদিন ১০ জুলাই বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন রমজান আলী। এর একদিনপর ১১ জুলাই রুজিনা আক্তার রজমান আলীর বাসায় গিয়ে কোহিনুরকে উদ্ধার করা যাবে বলে জানান। পরে সিআইডি ও ডিবি পুলিশের কথা বলে তার নিকট থেকে ১৩হাজার টাকা নেন রুজিনা। আরও দু’দিন পর রুজিনা রমজান আলীকে বলেন আশাকে উদ্ধার করতে হলে র‌্যাবকে ৫লাখ টাকা দিতে হবে।

এতে রমজান অপারগতা জানালে রুজিনা রমজানের জামাতা আলমগীরকে ফোনে তাকে অপহরণ হতে পারে বলে শতর্ক থাকতে বলেন। মেয়েকে অপহরণ ও র‌্যাবের নামে মুক্তিপণ চাওয়া এবং জামাতাকে অপহরণের হুমকি দেওয়ায় ভাইবোনকে আসামি করে রমজান আলী বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন।

নিখোঁজ হওয়া ওই নববধুকে উদ্ধার ও সাথে থাকা যুবককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, মেয়েটাকে মেডিকেলে পরীক্ষার জন্য ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি