সব
সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপক্ষের দুদফায় সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষে নারীসহ অন্তত আহত ৪০জন হয়েছেন। এরমধ্যে বশির আহমদ (৪৫), মধ্যস্থতাকারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া (৫৫) ও পিয়ারা বেগম (৪০) নামের এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন মেম্বারের ভাতিজা রুহুল আমীন সুন্দর গং ও মৃত ওয়াছির আলীর ছেলে বশির আহমদ গংদের মধ্যে এ সঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে বদরুজ্জামান (৪২), আফরুজ আলী (২৪), ইকবাল হোসেন (২০), ইমন আহমদ (১৯) ও ফরহাদ আহমদ (২০) নামের দু’পক্ষের ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ফের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের মাহতাবপুর মাছ বাজারের দোকান কোঠা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বশির আহমদ ও হেলাল উদ্দিন মেম্বারের মধ্যে বিরোধ চলছে। এনিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। মঙ্গলবার সকাল ১২টার দিকে বশির আহমদ মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ীতে যাবার পথে রুহুল আমীন সুন্দরের বাড়ীর সামনেই তার উপর হামলা করা হয়। এতে বশির আহমদ গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা অনটেস্ট পালসার মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। কিছুক্ষণ পরে মাহতাবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আবারও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ মধ্যস্থাকারী ২জন, বশির মিয়াসহ তার পক্ষে ১৫জন এবং রুহুলসহ তার পক্ষে ৭জন ও পথচারীসহ ৩৫জন আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন, বশির আহমদ (৪৫), তার ভাতিজা ভুট্টু মিয়া (৪০), সহিদ হাসান (১২), সাহিদুর (২৫), চাচাতোভাই আমরুজ আলী (২৫), আলী নুর (৩৮), জামিল আহমদ (২৫), আলী আমজদ (২৪), আলী আকবর (২২), ছয়দুল হক (২৫), প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন (৩৫), তার পক্ষের শফাত আলী (৪০), গিয়াস উদ্দিন (৫০), জামিল আহমদ (২৩), জুয়েল (২৫), আলম হোসেন (২৪), ফারুক আহমদ (২৭), ফকির আলী (২০), সাদিক আলী (২১)।
সংঘর্ষের ঘটনা ও ৫জনকে আটকের সত্যতা জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি