সব
পাসপোর্ট জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে সম্পত্তি দখল ও প্রাণে মারা হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া সিকন্দর আলীর পুত্র মকদ্দস আলী সাজিয়া প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্ট, জন্ম সনদসহ কাগজপত্র জাল করে যুক্তরাজ্যে যান। এখন গেদা মিয়া মকদ্দছ আলী সেজে ওই মৃত মকদ্দছ আলী উরফে মখন মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার জন্য বিভিন্ন কৌশলে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি মৃত মকদ্দস আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে তার লোকবল দিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন। এমনই ঘটনাটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আলমনগর গ্রামের মৃত মকদ্দছ আলীর পরিবারের সাথে ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার একই গ্রামের মৃত মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন, (মামলা নং বিশ্বনাথ সিআর-১৫৪/২০২০)।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া (৫০), মকরম আলী উরফে গেদা মিয়ার স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম (৪৫), পালোগাউ গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর পুত্র শানুর মিয়া (৩০), মুছেধর গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান (৩২), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কাঠাদি গ্রামের আবদুল করিমের পুত্র আবদুল কাইয়ুম (২০), মনু মিয়ার পুত্র জাহিদ খান (২৪)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান অভিযুক্ত আলমনগর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া সিকন্দর আলীর পুত্র মকদ্দস আলী সাজিয়া প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্ট, জন্ম সনদসহ জাল কাগজপত্র করে যুক্তরাজ্যে যান। এখন গেদা মিয়া মকদ্দছ আলী সেজে ওই মৃত মকদ্দছ আলী উরফে মখন মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার জন্য বিভিন্ন কৌশলে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি মৃত মকদ্দস আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে তার লোকবল দিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার বসত-ঘরের জায়গা দখল ও স্ত্রী-সন্তানসহকে হত্যা করার হুমকির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে এবং প্রবাসীর স্ত্রীর বসবাসরত ভূমি যাহাতে বেদখল ও উক্ত সম্পত্তি থেকে তাহাকে যাতে বিতাড়িত না করতে পারে তজ্জন্য ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করার লক্ষ্যে গত ১৮ আগস্ট সিলেটে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগমের ভাগ্না জাবির হোসেন। মামলা নম্বর গুলো হলো যথাক্রমে বিশ্বনাথ বিবিধ মোকদ্দমা নং ১৯/২০২০ইং এবং বিশ্বনাথ সিআর মোকদ্দমা নং ১৪৯/২০২০ইং। এরমধ্যে ১৪৯ নং মামলাটি পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগম জানান, ১৯৮৯ সালের ২৮ মার্চ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আলমনগর গ্রামের মরহুম হাজী মো. সিকন্দর আলীর পুত্র মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বাদীর স্বামী ও উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বাদী সন্তানদের নিয়ে স্বামীর তৈরী পাকা দালান গৃহে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি শানুর মিয়া দলবল নিয়ে এসে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। আর বাড়ি না ছাড়লে প্রাণে মারারও হুমকি দেন।
এ বিষয়ে মামলার ১নং অভিযুক্ত মকরম আলীর ভাগ্নে ৩নং অভিযুক্ত শানুর মিয়া নিজেদের উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবী করে বলেন, দেশে আমার মামার নাম মকরম আলী, পিতা ইসকন্দর আলী। আর যুক্তরাজ্যে মকদ্দছ আলী, পিতা ছিকন্দর আলী নামে যুক্তরাজ্যে যান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি