সব
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- বাহুবল উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল্লাহর পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের হাজী আফসর উদ্দিনের পুত্র নোমান মিয়া (২০) ও শিহাব মিয়া (১৯), ইসলামপুর গ্রামের হোসাইন মিয়ার পুত্র জুনাইদ (৩২) ও শংকরপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র আব্দুল মালেক (৪৫)।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাহুবল ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বাহুবল মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
উলেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহাসড়কের বাহুবলের অনতিদূরে বাগান বাড়ি এলাকায় চেকপোস্টের কাছে হাইওয়ে পুলিশের পিক-আপের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় তোফায়েল মিয়া নামের সিএনজি চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং নারীসহ ৩ যাত্রী আহত হয়। আহতরা এখনও মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনার পরপরই মহাসড়কে কয়েকশ সিএনজি শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চলিতাতলা থেকে চারগাও পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ লোকজন তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়ের করে জানান, ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ মামলা দায়েরের পর সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক সিএনজি শ্রমিক আত্মগোপন করেছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি