সব
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরশহরের বুক ছিড়ে প্রবাহিত নদীর নাম বাসিয়া। এক সময় এ নদী পথেই বিশ্বনাথে পণ্যপরিবহন হতো। আসতো বড় বড় মালবাহী বলগেট ও জাহাজ। এখন আর এই বাসিয়া নদী দিয়ে বড় নৌকা চলাচল দূরে থাক ছোট নৌকাও চলাচল করেনা। দখল-দুষণের কারণে বাসিয়া এখন একটি মরাখালে পরিণত হয়েছে।
নদীটির নাব্যতা ফিরিয়ে দেবার দাবি তুলেছে ‘নদী রক্ষায় কাজ করা সংগঠন ‘নোঙর’, বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা মানবাধিকার কমিশন। তারা বাসিয়া নদীতে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিয়ে ব্যাতিক্রমি কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদ ঘাটে সম্মুখে নদী তীরে দাঁড়িয়ে বাসিয়া নদীতে নৌকা ভাসিয়ে নাব্যতা ফিরিয়ে দেওয়ার এ দাবি জানান তারা।
পরে নদী তীরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নোঙর’র চেয়ারম্যান সুমন শামস। বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খানের সভাপতিত্বে ও ধ্রুবতারার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাতিনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপা সিলেটের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ছামির মাহমুদ, বাংলাদেশ পল্লি ফোরামের চেয়ারম্যান চৌধুরী আলী আনহার শাহান, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম মাছুম ও সিলেটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়কারি শাহ নাজিম উদ্দিন।
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, এক সময়ের খরশ্রুতা বাসিয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হযেছে। আর ময়লা আবর্জনার স্তুপের কারণে নদী তীরের অবস্থাও করুণ। অথচ, এক সময় এ নদীতে পালতোলা বড় বড় নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার, চলাচল করতো। কিন্তু দখল দূষণ আর ভরাটের কারণে প্রায় দুই যুগ ধরে ওই নদী দিয়ে কোনো প্রকার নৗকা চলাচল করতে পরাছে না। এর কারণে এলাকার কৃষকরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটে ভোগছেন।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাসিয়া নদীর এ অবস্থার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনও কম দায়ি নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ ঘাটের সিঁড়িতে ময়লা আবর্জনার স্তূপ দেখলেই বুঝা যায় তারা নদী রক্ষার ব্যাপারে কতটা উদাসীন। বক্তরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নদীর তীরে নির্মিত উপজেলা পরিষদ ঘাট থেকে ময়লার স্তুপ অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ওই ময়লা-আবর্জনা নিয়ে রাখা হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি