সব
প্ল্যান টা ছিলো ২ মাসের, রিস্ক টা ছিলো টাকার। ট্যুরের বাজেট ছিলো ৩৫০০ টাকা সর্বসাকুল্যে ৩৬০০ টাকা। একদম কাটায় কাটায় হিসাবের ট্যুর। অনেকেই বলেছিলো এই টাকায় ২ দিনের তাও সিলেট ট্রিপ! হবে না কখনো। আমার প্রথম টার্গেট ছিলো আমাদের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টকে একটা বাজেট ট্রিপ উপহার দেয়া।
সেই সুবাদে ৬০ জন ছাত্র ম্যানেজ করা, যেহেতু রেলের বগিতে ৬০ টি সিট থাকে।এর বেশি হলে এক্সট্রা টিকেট কেটে নেয়ার প্ল্যান ছিলো।মার্চ এর প্রথম দিকে আমরা ধাক্কা খাই ট্রেনের বগি রিজার্ভ না পেয়ে।যেই সময় পাইসি তখন রোযা পড়ে যায় তাই ট্যুর ক্যানসেল হয়ে যায় । রোযার মধ্যেই আমাদের ট্যুর এর সকল প্ল্যান আমি করে ফেলি কখন কোথায় যাবো কি করবো যেহেতু আমি সিলেটের লোকাল।তানজিদ এর সাথে আমি শেয়ার করতাম সবই ও না চিনলেও ভরসা দিতো যে ভাই হয়ে যাবে আল্লাহ ভরসা।এপ্রিল এর ২১ তারিখ ট্রেনের বগির জন্য দরখাস্ত করে ২২ তারিখ কনফার্মেশন পাই বগি রিজার্ভ এর। রেল আমাদেরকে ২৭ তারিখ রাতে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাওয়ার ও ২৯ তারিখ রাতে সিলেট থেকে ব্যাক করার জন্য একটা করে ২ টা বগি রিজার্ভ দেয়। আমাদের প্রস্তুতি ছিলো ১০০%। ফিন্যান্স সেক্রেটারি আহাদকে খালি বলতাম সব ফি কি পেইড নাকি ফি কেউ দেয়া বাকি আছে, কারন একজন মিস মানে অনেকদিকে প্রেসারে পড়ে যাওয়া। শেষমেষ স্যার, ছাত্র মিলে ৬০ জন হয়ে যায়। বাকি ছিলো আল্লাহর উপর ভরসা।
দেখতে দেখতে ২৭ তারিখ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে আসে। রাত ৯.৩০ এ আমরা আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ি এবং সবাইকে বসার জায়গা বুজিয়ে দেয় তানজিদ। ট্রেনে চলে তুমুল আডডা ,গান। এখানে সিনিয়র ,জুনিয়র সবাই মিলেমিশে অনেক হইহুল্লোর হয়।যখন এগুলা লিখছি নিজে আবারো ফিরে যাচ্ছিলাম বার বার সেই সময় গুলাতে।
বৃষ্টির শহর সিলেট সবাইকে স্বাগত জানায় বৃষ্টি আর ঠান্ডা হিমেল বাতাস দিয়ে।আবহাওয়া ছিলো অন্যান্য জেলার তুলনায় তুলনামূলক শীতল। বাস আগে থেকেই রিজার্ভ থাকার সুবাদে ট্রেন থেকে নেমেই বাসে উঠে সবাই চলি নাস্তার উদ্দেশ্যে তালতলায় সিলেটের বিখ্যাত নবান্ন রেস্টুরেন্টে। নাস্তার পর্ব সেরে চলে আসি আম্বরখানা হোটেল কায়কোবাদ যেখানে আগেই রুম বুকিং ছিলো আমাদের। ছিমছাম এই হোটেলে ব্যাগ রেখে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়ি সাদাপাথর এর উদ্দেশ্যে। পথের ধারে সারি সারি চা বাগান যেন অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সবাইকে। পাহাড়, টিলা আর দিগন্ত বিস্তৃত চা-বাগান যেন সিলেটকে ঢেকে রেখেছে সবুজ চাঁদরে। যেখানে পর্যটকরা মুগ্ধ হন, প্রেমে পড়েন শীতল প্রকৃতির এই লীলাভূমিতে। সিলেট হচ্ছে দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির সবুজ রংয়ের নয়নাভিরাম চারণভূমি, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.)সহ ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি। গাড়িতে একটু দূর গিয়েই দেখা মিলছিলো ভারতের চেরাপুঞ্জির পাহাড় গুলো। মেঘালয় এর পাহাড় দেখতে দেখতে আমাদের যাত্রা শেষ হয় ভোলাগঞ্জ এ গিয়ে । এটাও একটা ভারত বাংলাদেশ বর্ডার। ভোলাগঞ্জ থেকে নৌকাযোগে যেতে হয় সাদা পাথর।চেরাপুঞ্জির পাহার গুলোর পাদদেশ দিয়ে যায় নৌকা গুলো।পাহাড়গুলোতে আবহাওয়া ভালো থাকলে থাকে মেঘের লুটোপুটি।আমরা পেয়েছিলাম সেই মেঘ। চেরাপুঞ্জির ঝরনা গুলো থেকেই মূলত সাদাপাথর এর সৃষ্টি। সাদা পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ঝরনার পানির তীব্র স্রোত নয়ন জুড়ায়। শীতল জলের স্পর্শে প্রাণ জুড়িয়ে যায় নিমিষে। পাথরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলা পানির কলকল শব্দে যেন পাগল করা ছন্দ। বরফ গলার মতো ঠাণ্ডা সেই পানি। বেশিক্ষণ গা ভেজালে শরীরে শীতের কাঁপন লেগে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। ২-৩ ঘন্টা এখানে কাটানোর পর ভোলাগঞ্জ গিয়ে দুপুরের খাবার এর পালা। খাবারে ছিলো ভাত,সিলেটর বিখ্যাত ভর্তা পদসহ , মুরগি , সবজি। খাবার খেয়ে পরবর্তী গন্তব্য আরেক পর্যটন কেন্দ্র রাতারগুল জলাবন এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আমাদের বাস। সময়ের চেয়ে দেড় ঘন্টা পিছিয়ে ছিলাম আমরা।
একটু টেনশন ও হচ্ছিলো যে গিয়ে ঠিকমতো ঘুরতে পারবো কিনা , কারন রাতারগুলা জলাবন দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলে কিছুই দেখা যাবে না। কিন্তু ভাগ্য ভালো থাকায় আমরা অনেকটা তাড়াতাড়ি পৌঁছিয়ে যাই। আমার জন্য পুরাতন ভ্রমণ স্পট তাই আমার তেমন কোনো অনুভূতি কাজ করে নাই। বাকি ৫৯ জনের সবাই নতুন আসছে উনাদের উচ্ছাস দেখছিলাম আর ভালোই লাগছিলো। আমার নৌকায় যারা ছিলো আমার বন্ধু, ওদের ছবি তুলাতেই ব্যস্ত ছিলাম অনেকটা। রাতারগুল গিয়ে সবাই অভিভূত। পানি বর্ষার চেয়ে কিছুটা কম থাকলেও নৌকা চলার উপযোগী। খুব আনন্দই লাগছিলো ঘুরতে। রাতারগুল জলাবন বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সারা পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশে আছে দুটি। একটি শ্রীলংকায়, আরেকটি বাংলাদেশের রাতারগুল। সুন্দর বিশাল এ বনের তুলনা চলে একমাত্র আমাজনের সঙ্গে। আমাজনের মতো এখানকার গাছ বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে।
এই বন মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও পরবর্তিতে বাংলাদেশ বন বিভাগ, বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের জলসহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে। এছাড়া জলমগ্ন এই বনে রয়েছে হিজল, করচ আর বরুণ গাছ, আছে পিঠালি, অর্জুন, ছাতিম, গুটি জাম, আছে বট গাছও। এই বনে সাঁপের আবাস অনেক বেশি। এছাড়া রয়েছে বানর, গুঁইসাপ, সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি।সন্ধ্যার আধার ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আমাদের রাতারগুল ঘুরাও শেষ হয়।
রাতারগুল ঘুরে আসার পর পরই পুরো টিম নিয়ে বাসে উঠে পড়ি। সবাই তখন ক্লান্ত। বাস সিলেট শহরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত ৮ টা হয়ে যায়। সবার খিদায় অবস্থা করুন। তাই আদেশ দিলাম হোটেলে গিয়ে গোসল করে হজরত শাহজালাল (রহ) এর দরগাহ তে ইশার নামাজ পড়েই রাতের খাবার শেষ করতে হবে। রাতের খাবারের জন্য সিলেক্ট রেস্টুরেন্ট ছিলো সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে এতই ভিড় থাকে যে এখানে খাওয়াবো নাকি এটা নিয়ে অনেক বেগ পেতে হইসে।২৪ ঘন্টাই এখানে ভিড় লেগেই থাকে। সবাইকে পাঁচ ভাইয়ে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানোর জন্য দ্বায়িত্ব দেই , ফখরুল ,ফয়সাল, শাকিল ও সৌরভ কে। তারা আমাকে নিরাশ করে নি। খুব সফল ভাবেই সম্পন্ন করেছে তারা।ধন্যবাদ তোমাদেরকে আমার তরফ থেকে। শিক্ষকদের আমার বাড়িতে দাওয়াত থাকায় আমি ও তানজিদ সহ স্যাররা চলে আসি বাসায়।খেয়ে দেয়ে আবার হোটেলে ব্যাক করি। সবাইকে সবকিছু বুজিয়ে দিয়ে আরামের ঘুম।
পরদিন সকালে ডাকতে ডাকতে ঘুম ভাঙে সকলের সকাল ৮.৩০। হোটেল চেক আউট করতে করতে ৯.৩০ হয়ে যায়, অইদিকে আমাদের ট্যুরগাইড রাও কল দিচ্ছিলো বার বার বের হওয়ার জন্য। অবশেষে সকাল ৯.৪৫ এ আমরা বাসে উঠি। বাসে করে আমরা প্রথমে চলে যাই শিবগঞ্জ এর সাফরন রেস্টুরেন্ট এ। নাস্তার পাঠ চুকিয়ে আমাদের গন্তব্য রূপের রানী জাফলং। বাস যখন জাফলং এর কাছাকাছি তখন রাস্তার পাশে দিয়ে উকি দিচ্ছিলো ভারতের মেঘালয়া এর ডাউকি শহরের পাহাড়। উঁচু উঁচু পাহাড় গুলা থেকে নামা ঝর্ণা রাশি দেখেই মন জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। ভাবছিলাম এই পাহাড়গুলো যদি আমাদের হতো কতই না ভালো হতো। পাহাড় দেখতে দেখতে বেলা ১ টার দিকে আমরা জাফলং পৌঁছাই । পথের মাঝখানে থাকে শ্রীপুর চা বাগান ও গুচ্ছগ্রামে ও তামাবিল স্থলবন্দরের সামনে ছবি তুলার জন্য যাত্রাবিরতি।
ডাউকির পাহাড়ের পাদদেশে দাড়িয়ে সবার উদ্দেশ্য ব্রিফিং দিলাম যাতে পানিতে সাবধানে নামে কারন জাফলং এ রয়েছে মরনফাদ চোরাবালি।অসতর্কতায় এই লুকায়িত চোরাবালিতে পড়ে গেলেই নিশ্চিত মৃত্যু। আগেও এখানে মারা যাওয়ার অনেক রেকর্ড আছে। যেহেতু আমি স্থানীয় ও হোস্ট তাই সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছিলাম বারবার। পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে ছবি তুলার পাঠ চুকিয়ে চলে গেলাম সবাই ঠান্ডা হিমেল পানিতে গা ভিজাতে। অনেকে সাতার কাটলো ,পানিতে হইহুল্লোর তো ছিলোই। আবার কয়েকজন তো চলেই গেলো মায়াবী ঝর্না দর্শনে। যদিও আমি না করেছিলাম যাওয়ার জন্য কারন পানি তেমন নাই প্লাস অনেক দূরে। নৌকার মাঝিরা ভুলভাল কথা বলে নিয়ে যায়। যাইহোক যারা গেসে ঘুরে আসলো ভালোই লাগসে ব্যাপারটা। পানিতে জলকেলি করে উঠতে উঠতে বেলা তখন ২.৩০ টা। খাওয়া দাওয়া করার জন্য ঠিক করা ছিলো সীমান্ত ভিউ রেস্টুরেন্ট। তারা আমাদের নিরাশ করেনি। আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত সুস্বাদু ও টাটকা খাবার পরিবেশন করেছিলো এবং সবাই তা পেটভরে তৃপ্তির সহীত খেলাম। এর মধ্যে অনেকে ইন্ডিয়ান পণ্যের মার্কেট থেকে অনেক কিছুই কেনাকাটা করলো।আমি সবসময়ই যাই তাই তেমন কিছু কিনি নাই আর সময় ও ছিলো না তেমন।
ঘড়ির কাটায় বেলা ৩ টা বাসে উঠে আমরা ৬০ জন পথ ধরলাম লালাখালের উদ্দেশ্যে। পথের ধারে দুইপাশের চা বাগান দেখে নয়ন জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। বিকাল ৪.৩০ এ লালাখালে পৌছাই আমরা। এখানেও নৌকা আগে থেকেই রিজার্ভ করা ছিলো তাই আর বেগ পেতে হয় নি। প্রতি টা নৌকায় ১৫ জন করে তুলে দিলাম। মোট চারটি নৌকায় আমাদের হয়ে যায়। এইদিন আবার ভোরে বৃষ্টি হওয়ায় লালাখালের প্রকৃত গোলাপি পানির দেখা তেমন পাইনি। পানি ঘোলা ছিলো, কিন্তু সবাই নৌ ভ্রমণ টা ইনজয় করেছে বেশ। কেউ নৌকার ছাদে উঠে কেউ বা নিচে বসে মন জুড়িয়েছে চার পাশের প্রকৃতি দেখে।
অবশেষে নৌ ভ্রমণ শেষে আমাদের বিদায় নেয়ার পালা। একে একে সবাই বাসে উঠে পড়ি। আমি, ফরহাদ, তানজিদ, ফয়সাল, ফখরুল , শাকিল, ঈমাম, সহ আরও কয়েকজন চলে যাই পাশের বাজারে নাস্তা কিনতে সবার জন্য। সবাইকে নাস্তা বুজিয়ে দিয়ে বাস ছাড়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এর উদ্দেশ্যে।পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের রাত ৮.৩০ হয়ে যায়। আমাদের দুজন স্যার পরিবার নিয়ে যাওয়ায় রেলওয়েতে থাকা আমার বাল্যকাল ,কৈশোরকালের শিক্ষক গুলজার আহমেদ স্যার এর মাধ্যমে একটা রুম ম্যানেজ করে দিই স্যারদের কিছুক্ষণের জন্য। এরই মধ্যে রাতের খাবার চলে আসে আমার এলাকার এক ভাই সালমান এর কাছে থেকে। সে অনলাইনে খাবারের ব্যবসা করে। তার পেজ এর নাম ছিলো The Salman’s Cafe. আমরা ওর কাছ থেকে মোরগ পোলাও সাথে সিদ্ধ ডিম এর ৬০ টি প্যাকেট অর্ডার দেই। খাবারের স্বাদ এককথায় মা শা আল্লাহ। অত্যন্ত মুখরোচক ছিলো খাবার গুলো। কেউ সিলেট গেলে বিনা দ্বিধায় ওর থেকে খাবার অর্ডার করতে পারেন।
খাবারের পাঠ চুকিয়ে দেখতে দেখতে ট্রেন ছাড়ার সময় ঘনিয়ে আসে। আমরা সবাই ৯.৩০ এ ট্রেনে উঠে পড়ি।এবং সবার সিট বুজিয়ে দিয়ে আমাদের গন্তব্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। ট্রেনে অনেক আনন্দ ,হৈ হুল্লোর হয়।ট্যুর এর থাকার সময় গুলো মিস করতে থাকি। কত মজাই না করেছিলাম এই ৪৮ ঘন্টা। ভোর ৬.৩০ এ আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছাই। একে একে সবাই স্টেশনে নেমে বিদায় নিয়ে যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
ট্যুরের সময় কম ছিলো কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি এই ট্রিপ এর স্মৃতি আমি যতদিন বেচে আছি ততদিন মনে থাকবে। মনে থাকবে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, বন্ধু, জুনিয়র ভাইদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো।
পরিশেষে এই ট্রিপটাকে সহজ করার জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই ট্যুর এর আহবায়ক জনাব জসীম উদ্দিন স্যারকে। স্যারের দিক নির্দেশনায় আমরা অসাধারণ একটা ট্যুর করতে পেরেছি। সেই সাথে ট্রাভেলার্স অফ গ্রেটার সিলেটের (টগস) শেখ রাফি ভাই, নুর আলম রায়হান ভাই, হাদি ভাই, ওয়াসি ভাইদের । যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই ট্রিপটা সফল হয়েছে। ৬০ জনের বহর নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গিয়ে কোনো এক্সট্রা চিন্তাই করতে হয় নি আমার আলহামদুলিল্লাহ। টগস এর উপর ভরসা রেখে আমি সন্তুষ্ট, উনাদের প্রতি আমি ব্যক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞ। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজের জন্মভূমি সিলেটকে আমার সাধ্যমতো ঘুরে দেখানোর চেষ্টা করেছি, শুনিয়েছি সিলেটের অতীত ইতিহাস ,সিলেটের নিজস্ব ঐতিহ্য। সবাইকে নিয়ে আবারও দেখা হবে নতুন কোনো জায়গায় ইন শা আল্লাহ।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ রাফি
জেনারেল সেক্রেটারি
অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগ ক্লাব
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
ReplyForward |
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি