সব
বাতাসে করোনা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুই শতাধিক বিজ্ঞানীর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার পর অবশেষে এ কথা স্বীকার করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কোভিড-১৯ মহামারির টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পদ্ধতি হিসেবে বায়ুবাহিত সংক্রমণ ও অ্যারোসল সংক্রমণের সম্ভাব্যতার বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক টেকনিক্যাল প্রধান বেনেডেত্তা অ্যালাগ্রাঞ্জি বলেছেন, করোনাভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের প্রমাণ হাজির হচ্ছে তবে এখনও তা চূড়ান্ত নয়।
তিনি বলেন, জনসমাগম স্থলে নির্দিষ্ট পরিবেশে, অতিরিক্ত মানুষ, বদ্ধ, আলো-বাতাস প্রবেশের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকার মতো পরিবেশে বায়ুবাহিত সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। যদিও এখন প্রমাণ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা ভ্যান কারখোভ জানান, আগামী দিনে সংস্থাটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যম নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক সারসংক্ষেপ প্রকাশ করবে।
জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটির প্রতি সোমবার ক্লিনিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজ জার্নালে ৩২ দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠিতে দাবি করেছেন, তাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ বা অ্যারোসল কণা দীর্ঘ সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। খোলা চিঠিতে ওই গবেষকেরা বলেছেন, করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় বাতাসে ভেসে থাকার মধ্য দিয়ে যে ভয়াবহ ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে; ডব্লিউএইচও সে ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আহ্বান জানিয়েছেন, এই ঝুঁকির বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য সংস্থাটির নির্দেশিকা হালনাগাদ করার জন্য।
মহামারির শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের দুই ধরনের সংক্রমণকে গুরুত্ব দিয়ে আসছিল। একটি হলো আশপাশের কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোঁটা (ড্রপলেট) শ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে যাওয়া। আরেকটি হচ্ছে কোনও কিছুর দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি