সব
সিলেট জেলার ৩ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১০ বিদ্রোহী নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় নিদের্শনা উপেক্ষা করে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তারা।
রোববার (৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জের চারজন, বালাগঞ্জের একজন এবং শুক্রবার সিলেট সদরের পাঁচজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তাদেরকে দ্রুত চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হবে।
সদর উপজেলায় বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশ্রব আলী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের ফ্রান্স শাখার সদস্য জয়নাল আবেদীন ও মােগলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাে. আছন মিয়া।
অপরদিকে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বহিষ্কৃত চারজন হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পূর্ব ইসলামপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাে. ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পূর্ব ইসলামপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তেলিখাল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আবদুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া, রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন।
এছাড়াও বালাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পূর্ব পৈলনপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাে. আবদুল মতিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৮ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় ১০ আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তাই দলের ৪৭ ধারার ১১ উপধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১০ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় ‘সিলেটে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ এমন হুশিয়ারি দেওয়া হয়। ওই সভায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের জয় করতে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়টি জেলার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়াও ইউপি নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থী বা নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন এবং দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি