সব
বন্যার পানিতে মলিন বানভাসীদের ঈদের আনন্দ। সিলেট, সুনামগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্নস্থানে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দুর্গতদের ঠাঁই হয়েছে বাঁধের ওপর। অর্ধাহারে, অনাহারে থাকা এসব মানুষের পেট চালানোয় যখন দায়, তখন ঈদের মতো বিশেষ দিনটিও খুশি বয়ে আনেনি তাদের মনে।
বানের পানিতে ঈদের আনন্দ ভেসে গেছে ৭০ বছর বয়সী রহিমুদ্দিনের। থৈ থৈ পানিতে ডুবে গেছে তার বাড়িঘর।
বাধ্য হয়ে গত ১ মাস ধরেই স্ত্রীসহ ৫ সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ওপর। এই পরিবারটির মতো একই অবস্থা জামালপুরের বন্যাদুর্গত এলাকার বহু মানুষের। ঈদের এই বিশেষ দিনটিতে গায় ওঠেনি নতুন জামা, পেটে পড়েনি ভালো খাবার।
এলাকাভাসী বলেন, ঈদের যে একটা আনন্দ-ফুর্তি খাওয়া দাওয়ার জন্য মাছ, গোস্ত, সেমাই এগুলো তো খেতে পারলাম না।
এক নারী বলেন, আমাদের ছোট ছেলে-মেয়েদের একটা কাপড় কিনে দিতে পারি নাই। একটু সেমাই রান্না করে খাওয়াইতে পারি নাই।
শাল্লার লিপি বেগমও দেড়মাস ধরে পানিবন্দি। ঈদের দিনটিতে জ্বলেনি চুলা, নেই কোন আয়োজন। করোনা ও বন্যার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষের চাঁপা কান্নায় মলিন ঈদের আনন্দ।
লিপি বেগম বলেন, এই করোনা আবার বন্যা, ছেলে-মেয়েদের কিছু রান্না করে কিছু খাওয়াইতে পারি নাই।
ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি ঘর ফেলে বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেয়া এ মানুষগুলোর জীবনেও নেই ঈদের ছটা। আছে বন্যা ও ভাঙনের ছোবলে সব হারানোর আর্তনাদ।
এই দুর্দিনে কোন ধরণের সরকারি বেসরকারি সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষোভ জানান বানভাসীরা।
পানিবন্দী এক নারী বলেন, আমাদের কোন ঈদ নাই। আমরা অনেক অসহায়। আমাদের চারপাশে অনেক পানি। বাচ্চাদের কোন কাপড় কিনে দিতে পারি নাই।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে টাঙ্গাইল এই ১১টি উপজেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি