সব
করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বিমান। যে কারণে ফ্লাইট সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন সিলেটি প্রবাসীরা। ফ্লাইট স্বল্পতার কারণে সময়মতো ফিরে যেতে পারছেন না তারা। দেশে বেড়াতে আসা প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে পারছেননা । এর বাইরে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও অর্ধলক্ষাধিক প্রবাসী এখন বিদেশ ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
যুক্তরাজ্য ও দুবাই প্রবাসীরাই এ তালিকায় বেশি। আর ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাহরাইন প্রবাসীরা রয়েছেন ভিসার মেয়াদ নিয়ে শঙ্কায়। এ অবস্থায় ঢাকা-লন্ডন ও ঢাকা-দুবাই, ঢাকা-আবুধাবি রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং ঢাকা-বাহরাইন রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর দাবি জানাচ্ছেন আটকা পড়া প্রবাসীরা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) জানিয়েছে, করোনার কারণে ফ্লাইট সংকটে এখনো সিলেটে আটকা পড়ে আছেন যুক্তরাজ্য, দুবাই ও বাহরাইনের প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী। এর বাইরে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও অর্ধলক্ষাধিক প্রবাসী এখন বিদেশ ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতির আগে প্রায় প্রতিদিন ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে বিমানের ফ্লাইট ছিল। বর্তমানে এ দুটি রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। এর চেয়েও বড় বিপাকে পড়েছেন বাহরাইন প্রবাসীরা। এই সংকট নিরসনে ঢাকা-বাহরাইন বিমানের ফ্লাইট চালুর দাবি জানাচ্ছেন আটাব নেতারা।
ফ্লাইট বন্ধের কারণে আটকা পড়লেও এখনো বাহরাইন সরকার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় শঙ্কিত প্রবাসীরা। এদিকে সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার এখনো তাদের দেশে শ্রমিক ফেরত যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় ফিরতে পারছেন না প্রবাসীরা।
আটাব সিলেটের সভাপতি মোতাহার হোসেন বাবুল বলেন, ‘যুক্তরাজ্য, দুবাই, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশের আটকা পড়া প্রবাসীরা ফিরে যেতে প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু ফ্লাইট সংকটের কারণে তারা সময়মতো ফিরে যেতে পারছেন না। প্রবাসীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা বিমানের কাছে ফ্লাইট বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সিলেট অফিসের ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার জানান, যুক্তরাজ্যের যেসব যাত্রী রিটার্ন টিকিট কনফার্ম করছেন, ফ্লাইট সংকটের কারণে তাদের অক্টোবর-নভেম্বরের শিডিউল দিতে হচ্ছে। তবে আপাতত ফ্লাইট বাড়ানোর নির্দেশনা নেই।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি