আজ রোববার (১০ই অক্টোবর) মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
সময়ের আবেদন উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী সালমান শাহ’র মা লন্ডনে অবস্থান করছেন। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না বিধায় সময় প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি মামলাটির প্রতিবেদনটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মারা যান চলচ্চিত্র নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
১৯৯৭ সালের ২৪শে জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। ওই সময় অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর ১৯৯৭ সালের ৩রা নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই প্রতিবেদন গৃহীত হয়। কিন্তু সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। প্রায় ১৫ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।
এরপর ২০১৪ সালের ৩রা আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকা মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। পরে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহ’র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
মামলাটিতে র্যাবকে তদন্ত ভার দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯শে এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ-৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র্যাব মামলাটি আর তদন্ত করতে পারবে না বলে আদেশ দেন।