সব
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও মোল্লাটিলা এলাকায় জুলেখা বেগম খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার উত্তর শেখরনগর গ্রামের উসমান গনির ছেলেন রোকন ওরফে কালু (২০), মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার গাজীপুর গ্রামের সুকরামের ছেলে ইন্দ্র (২১) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মনিপুর গ্রামের মৃত সনজিত ভক্তার ছেলে উমন ভক্তা (১৪)।
পুলিশ জানায়, মোগলাবাজারের নমালিপুর পীরেরচক গ্রামের মো. রেদোয়ান মিয়ার সঙ্গে স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৫)-এর প্রায় ৫ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকে জুলেখা বেগম বড় ছেলে মো. রুমান আহমদ ও ছোট ছেলে রুমেল আহমদকে নিয়া ফেঞ্চুগঞ্জ থানাধীন ০২নং মাইজগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত মাইজগাঁও মোল্লাটিলাস্থ দেলোয়ার হোসেন এর গরুর খামারের ভিতরে ভাড়াটিয়া টিনসেড ঘরে বসবাস করতেন।
গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় জুলেখা বেগমের ছোট ছেলে রুমেল আহমদ ভাড়াটিয়া বাড়ীতে গিয়ে দেখে আসবাবপত্র তছনছ করা এবং ঘরে থাকা কলস কাত হয়ে পানি পড়ছে তার মা ঘরে নেই। রুমেল ও রুমান তার মাকে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকে এবং নিকট আত্মীয় স্বজনদের সংবাদ দেয়।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজনসহ এলাকার বিভিন্ন জায়গার খোঁজাখুজি করা অবস্থায় দেখতে পান, ফেঞ্চুগঞ্জ থানাধীন পুরানগাঁও সাকিনস্থ লন্ডন প্রবাসী মায়া বেগম-এর বসতবাড়ীর উত্তর পার্শ্বে খোলা টয়লেটের রিংয়ের ট্যাংকির নিকটবর্তী স্থানে রক্ত এবং জুলেখা বেগমের লাশ টয়লেটের ট্যাংকির ভিতরে পড়ে আছে। তার পা দুইটি ট্যাংকিতে ভাসমান অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টি ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ খালেদ চৌধুরী-এর নেতৃত্বে আফিসার ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জুলেখা বেগমের লাশ টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর হতে উঠালে দেখা যায় তার গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে তাহাকে শ্বাসরোদ্ধ করিয়া হত্যা করা হয়েছে।
পরে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। পাশাপাশি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশনায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের থানা পুলিশের একাদিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। বিভিন্ন পারিপাশ্বিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে অভিযানের এক পর্যায়ে হত্যা কান্ডের সাথে জডিত উল্লেখিত তিনজনকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। শুক্রবার আসামি তিনজনকে স্বীকারোক্তির জন্য কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান জানান, ফেঞ্চুগঞ্জে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাটি পুলিশ সুপার মহোদয় ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করছেন। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি