সব
সত্য হলো জো বাইডেনের স্বপ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। বড় কোনো সংকট দেখা না দিলে আগামী চার বছর ওভাল অফিসের নিয়ন্ত্রণ থাকছে তারই হাতে।
স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টার পর ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে শপথ নেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।
এর আগে, নির্ধারিত সময় সকাল ১০টার দিকেই ক্যাপিটলে পৌঁছান জো বাইডেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জিল বাইডেন, নতুন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রমুখ।
বাইডেনের জন্য মার্কিন রাজনীতির চূড়ায় পৌঁছানোর এই পথ মোটেও সহজ ছিল না। তিনবারের চেষ্টায় এই সাফল্য ধরা দিয়েছে তার হাতে। ১৯৮৭ এবং ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাইডেন। দু’বারই ব্যর্থ হন।
কিন্তু ২০২০ সালে আর নিরাশা নয়, ধরা দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত সেই সফলতা। বিপুল ভোটে জিতে ট্রাম্পের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ।
তবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন- এটাই যেন বাইডেনের জীবনে কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত কষ্ট করে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তার চেয়ে আরও কয়েকগুণ দুর্ভোগ হয়তো অপেক্ষা করছে সামনের দিনগুলোতে।
নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বাইডেনকে। ট্রাম্প পরাজয় অস্বীকার করেছেন বারবার। ক্ষমতা হস্তান্তরে তার প্রশাসন চরম অসহযোগিতা করেছে বাইডেন টিমকে।
সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতা ঘটনা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সামনের দিনগুলো মোটেও সহজ হবে না। করোনা মহামারি, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির কারণে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য বাইডেনকে বেশ ভুগতে হবে। এজন্য আগামী দিনগুলো খুব হিসাব করে পা ফেলতে হবে নতুন প্রশাসনকে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি