নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম সনমান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ধর্ষককে ধরে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। গণধোলাইয়ের পর অভিযুক্ত সোহেল মিয়াকে পুলিশে দিয়েছেন তার বাবা-মা। বর্তমানে সোহেল পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন।

এর আগে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মো. সোহেল মিয়াকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলায় স্কুলছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সনমান্দি গ্রামে বসবাস করেন তারা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বড় মেয়ে মেজো মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে স্থানীয় মাদ্রাসায় যায়।

সেখান থেকে ফেরার পথে পশ্চিম সনমান্দি গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে সোহেল তার মেয়ের পথরোধ করে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়ে বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মামলা করা হয়েছে। মামলার পর রাতেই সোহেলকে আটক করে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। গণধোলাইয়ের পর সোহেলকে অসুস্থ অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করেন তার বাবা-মা। বর্তমানে সোহেল পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এলাকাবাসী ধর্ষককে গণধোলাই দিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।