সব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার পেয়েছেন সিলেটের ৪ হাজার গৃহহীন পরিবার। ঈদের আগেই তাঁরা পেলেন স্থায়ী ঠিকানা। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের মধ্যে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন।
এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০ টায় সিলেট সদর উপজেলা হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি, ঘরের দলিল, নামজারির কাগজ, মালিকানা হস্তান্তর করা হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে ও সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমিরি হকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশারফ হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাদ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা আহমদ প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে মহাযজ্ঞ চলছে সারা দেশে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে এবার ৬৫ হাজার ৪৭৪টি পরিবার ঘর পাবে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৬৯ ও সিলেট জেলায় ৮১৭টি পরিবারকে ঘর উপহার দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের চারটি উপজেলায় গৃহহীন মানুষের হাতে উপহারের এসব ঘর হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সারাদেশের মতো সিলেট বিভাগের সকল উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলায় ৮১৭টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে জেলার বালাগঞ্জে ৪২, বিয়ানীবাজারে ১২০, বিশ্বনাথে ৩৩, কোম্পানীগঞ্জে ৩৩, ফেঞ্চুগঞ্জে ১২, গােলাপগঞ্জে ৫০, গােয়াইনঘাটে ২২৪, জৈন্তাপুরে ৮৭, কানাইঘাটে ৮৪, সিলেট সদরে ৬০, জকিগঞ্জে ৩৫, দক্ষিণ সুরমায় ২৭ ও ওসমানীনগরে ১০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মুজিবর রহমান।
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে এসেছে বেশ পরিবর্তন। ব্যয়ও বাড়ানো হয় আগের তুলনায় ৬৯ হাজার টাকা। তৃতীয় ধাপের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রতিটি ঘরের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি