সব
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেলভুক্ত নিয়োগ হচ্ছে না। শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হবে। অথচ প্যানেল নিয়োগের নামে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব আকরাম-আল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাঠ পর্যায়ে তথাকথিত প্যানেল হতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে নিরীহ প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে বছরের ৩০ আগস্ট আবেদন শেষ হলেও গত বছরের জুনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো প্যানেল করার বিষয়ে উল্লেখ ছিল না বলে প্যানেল বা অপেক্ষমাণ তালিকা করা হয়নি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ একটি রুটিন প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে পদ শূন্য হবে বিবেচনা করে প্যানেল করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে বিভ্রান্ত করে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় কোনো ধরনের অর্থ না পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সরকারি বিধি বিধান অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন করার সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি