সব
অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গিয়েছিল গোটা টুর্নামেন্ট। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সারা দুনিয়ায় অন্যান্য খেলার মতো থমকে গিয়েছিল ফুটবল। পরে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার খাতিরে শুরু হতে থাকে একের পর এক টুর্নামেন্ট। সকল শঙ্কা কাটিয়ে আজ ফাইনালের মধ্যদিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ২০১৯-২০ মৌসুমের পর্দা নামছে।
ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে আসরের ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন ও জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ এবং ক্লাবের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা দল হয়ে ট্রফি জয়ের অপেক্ষায় থাকা পিএসজি। পিএসজির আছে অর্থের জোর, বায়ার্নের শক্তি ইতিহাসে। তবে দুদলই ফাইনালে এসেছে চোখজুড়ানো ফুটবলে।
রোববার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লিসবনের এস্তাদিও দ্য লুজে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলাটি শুরু হবে। সনি টেন ২ চ্যানেল খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
আসরজুড়ে ধারাবাহিক ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়েছে বায়ার্ন ও পিএসজি। শতভাগ জয়ে একটু হলেও এগিয়ে বাভারিয়ানরা। ১১ বার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা তাদের ঝুলিতে আছে। টুর্নামেন্টে ৪২ গোল করে বায়ার্নের আক্রমণভাগ গোল মেশিনে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালে এখনো হারেনি বায়ার্ন।
স্কোরিং আর অ্যাসিস্টে বাভারিয়ানদের লেভানডফস্কি সবাইকে ছাড়িয়ে; এখন পর্যন্ত ১৫ গোল এই পোলিশ তারকার। আর মাত্র ২টি গোল পেলে এক আসরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ছুঁবেন, হ্যাটট্রিক করলে গড়বেন নতুন ইতিহাস।
বিপরীতে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে রাউন্ড অব সিক্সটিনে এক মাত্র পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে প্রথম ফাইনাল খেলতে যাওয়া পিএসজি। যদিও অ্যাগ্রিগেটে জয়ে নিশ্চিত হয় পিএসজির কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর শেষ মুহূর্তের চমকে আটালান্টা আর সেমিতে লাইপজিগকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে প্যারিসের জায়ান্টরা। আসরে তাদের মোট গোল সংখ্যা ২৫।
পিএসজির স্পটলাইটে থাকবেন নেইমার-এমবাপ্পে-ডি মারিয়া। হাফ ফিট ফ্রেঞ্চ সুপারস্টার এমবাপ্পে কোয়ার্টার ফাইনালে যা করেছিল সেমিতে তা মোটেও পারেননি। ফাইনালে জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় ৫ গোল পাওয়া এই ফ্রেঞ্চম্যান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ঠিক এ কারণেই আমি এখানে (পিএসজি)। সব সময় বলেছি আমি ফরাসি ফুটবলের ইতিহাস লিখতে চাই। কাল (আজ রাতে) তা করার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছি। ২০১৭ সালে যখন পিএসজিতে এলাম, ক্লাব নানারকম সমস্যায় ছিল। এখন আমরা ফাইনালে। আমরা যে কখনো হাল ছাড়িনা এটাই তার প্রমাণ। ফরাসি কোনো দলের জন্য চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়টা হবে দুর্দান্ত ব্যাপার। এ কারণেই এখানে (পিএসজি) সই করেছি।’
নেইমারের ছন্দ বায়ার্নের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে প্রস্তুত। ৩ গোল করেছেন, করিয়েছেন ৪টা। তবে এসব পরিসংখ্যান খাটেনা ব্রাজিলিয়ান তারকার ক্ষেত্রে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি