সব
একদিকে চলমান বৃষ্টিতে নাকাল নগরবাসী, অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে নদ নদীর পানি। বর্ষা আসার আগেই জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময়ে ভারি বর্ষণে সিলেটবাসীর ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের ফলে সিলেটের সকল নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে নদ-নদীর পানি বাড়লেও আগামী ৯ জুন পর্যন্ত পানি বিপদসীমার নিচেই থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি কতটুকু বাড়বে তার নিশ্চয়তা নেই বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শনিবার সকাল ৯ টার বুলেটিনে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, আর কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১২১ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, মার্কুলী পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে কমেছে ৮ সেন্টিমিটার তবে মৌলভীবাজার পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি বেড়েছে ধলাই ও খোয়াই নদীরও। ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, হবিগঞ্জ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, পুরাতন সুরমা নদীর পানি দিরাই পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
তবে সকল নদীর পানিই প্রতিদিন বাড়লেও আপাতত চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অফিসের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, আগামী ৯ জুনের মধ্যে সিলেটে দুদিন বৃষ্টি হবে। একই সাথে উজানেও বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে। এতে নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমার নিচেই থাকবে। একই সাথে বন্যার শঙ্কাও এই সময়ের মধ্যে নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনযায়ী শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত সিলেট স্টেশনে ১১৪ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ৪৭ মিলিমিটার, শেওলায় ৬৬ মিলিমিটার, মৌলভীবাজারে ৩৫ মিলিমিটার, মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে ৭৫ মিলিমিটার, সিলেটের কানাইঘাটে ৫৮ মিলিমিটার, জকিগঞ্জে ৭৭ মিলিমিটার, লালাখালে ১০৪ মিলিমিটার এবং হবিগঞ্জ স্টেশনে ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
একই সময়ে ভারতের শিলচর স্টেশনে ৬৯ মিলিমিটার, কৈলাশহরে ৫৫ মিলিমিটার এবং তেজপুর স্টেশনে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে- দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে সিলেটের নদীগুলোর পানি বাড়ছে। তবে সকল নদীর পানিই বিপদসীমার নিচে রয়েছে। আগামী ৯ জুনের মধ্যে দুদিন একটু বেশি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে উজানের বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি হলেও পানি বিপদসীমার নিচে থাকবে। কিন্তু সারি নদীর পানির হিসেব বলা যাচ্ছে না। কারণ এই নদীর পানি বৃদ্ধি মূলত উজানের ঢলের সাথে সম্পর্ক। উজানের ঢলের কারণে এখানে পানি দ্রুত বাড়তেও পারে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি