সব
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনি এম এ রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু সংক্রান্ত যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
ভারতের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে থাকা সব খুনিকে ফেরত আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ওয়েব পত্রিকা পলিটিকোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের মামলা পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে উইলিয়াম বার অনেকটা নীরবে বহুল আলোচিত এই মামলাটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেন।
পলিটিকোর দাবি, প্রায় ১৫ বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া এই মামলা এখন আবার চালু করে রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি।
এতদিন বাদে এই মামলা আবার চালুর খবর পলিটিকোকে নিশ্চিত করেন রাশেদের আইনজীবীরা।
‘এটা ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশের পক্ষে কাজের নজির,’ অভিযোগ করে রাশেদের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডের হাউট সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘অনেক আগে শেষ হওয়া একটি মামলা নিয়ে তারা কেন এমন করছে সেটিই আমাদের কাছে প্রশ্ন।’
রাশেদ তার পরিবার নিয়ে ভ্রমণ ভিসায় ১৯৯৬ সালে আমেরিকায় যান। দুই মাসের মধ্যে তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। প্রায় দশ বছর পর তিনি সেই অনুমতি পান। এরপর বাংলাদেশ নানাভাবে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাস থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ১৭ জুন অ্যাটর্নি জেনারেল বার ‘বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিল’কে রাশেদের মামলাটি তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পলিটিকো এ ব্যাপারে যে নথি পেয়েছে তাতে রাশেদের নাম স্পষ্ট করা হয়নি। সেখানে এভাবে লেখা হয়েছে “A-M-R-C’’। এর পুরো অর্থ এমন, ‘এ এম রাশেদ চৌধুরী’।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি