সব
গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ও গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে এরাল বিলটি অবস্থিত । বিলটিতে প্রতিবছর শীত মৌসুমে লাল ও সাদা রঙের অজস্র শাপলা ফুল ফুটে।
এরাল বিলের এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেক দূর দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, করোনার কারণে এবার দর্শনার্থী কিছুটা কম। তারপরও প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। তারা নৌকায় বিলের পানিতে ঘুরে ঘুরে শাপলা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। কেউ সেলফি তোলেন। কেউ আবার শাপলা তুলে নিয়ে যান। রাতে ফুটে থাকা শাপলা ফুল রোদ ওঠার পর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। এ কারণে শাপলা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সূর্যের আলো তীব্র হওয়ার আগে পৌঁছাতে হবে শাপলা বিলে।
শাপলার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসা আবু সুফিয়ান আজম এ প্রতিবেদককে জানান, শাপলা দেখার জন্য ডিবির হাওরে যাওয়া লাগবে না। গোলাপগঞ্জের আমুড়া ইউনিয়নের এরাল বিলে আসলে সেই শাপলা অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে। প্রশাসন এই হাওরটির দিকে লক্ষ রাখলে এই হাওরটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
শাপলা বিল দেখতে আসা সামিল হোসেন জানান, আমি কল্পনা করিনি গোলাপগঞ্জে এমন সুন্দর শাপলার বিল রয়েছে। হাজার হাজার শাপলা দেখে মনটা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। ধীরেধীরে অনেকেই এই শাপলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আমুড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, যুবলীগ নেতা তারেক আহমদ বলেন, ‘এরাল বিল পর্যটনের জন্য বেশ সম্ভাবনাময়। বিলের পরিবেশ উন্নয়নসহ দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পারলে এই বিলটি একটি পর্যটন এলাকায় পরিণত হবে।’
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি