স্থানীয় সময় সোমবার জানাজা শেষে নিউইয়র্ক শহরের অরেঞ্জ কাউন্টির পুরোনো কবরস্থান পোকেসপি রুরাল সেমেট্রিতে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওয়াপিঙ্গার ফলসের আল নূর মসজিদের ইমাম ওসমানি।
পুলিশের উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ফাহিম সালেহকে দাফন করা হয়। ফাহিমের পরিবারের সদস্য এবং কিছু প্রতিবেশী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এবিসি নিউজের খবরে জানাজায় সংবাদমাধ্যমের কাউকে উপস্থিত থাকতে না দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে, বলা হয়, পারিবারিক বন্ধু, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক নারী সাংবাদিক দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তি নিয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল ফাহিমের। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম পড়াশোনা করতেন তিনি। ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে যৌথভাবে ‘পাঠাও অ্যাপ’ চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকান্ডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। ফাহিম মাত্র ১৮ বছর বয়সেই হয়েছিলেন মিলিয়নিয়ার। তবে প্রতিহিংসার জেরে ভীষণ সফল এই মানুষটিকে বরণ করতে হয়েছে করুন মৃত্যু।
গত ১৯শে জুলাই রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন। নিউ ইয়র্কের ম্যানহ্যাটানের একটি বাড়ি থেকে ফাহিম সালেহ’র টুকরো টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফাহিমের বোন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ৯১১ এ ফোন দেয়। পরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ফাহিমের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।