সব
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছালেহা বেগমের মানবেতর জীবনযাপন। অসুস্থ শরীর নিয়ে টাকার অভাবে ঔষধ কিনে খেতে পারছেন না তিনি। স্বামী হারা নিঃসন্তান এই মহিলাকে দেখার আপন বলতে কেউই নেই। এরপরও বিগত ২৫ বছর ধরে কাজ করছেন ওই স্কুলে। অসুস্থ শরীর নিয়ে বয়সের ভারে ঠিকমত চলাফেরা ও করতে পারেন এখন।
করোনাভাইরাসের কারনে স্কুল থেকে গত দুই মাসের বেতন ও পাননি তিনি। টাকার অভাবে কোনোভাবে খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন।
সরেজমিনে গিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায়, স্কুলের পাশে অবস্থিত ছোট একটি ভাঙ্গচুরা ঘরে বসবাস করেন ছালেহা বেগম। এসময় সাংবাদিকদের দেখে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন ৬০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ মহিলা। জীবনের অর্ধেক সময় ধরে কাজ করছেন ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে। দেখাশোনা করেন স্কুলের চারপাশ। সকাল-বিকেল পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত থাকতেন সবসময়। ইনাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ১২শ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা রাখতে ধুলা বালু পরিস্কার করে রাখার কাজেই নিয়োজিত ছালেহা বেগম। এই ছালেহা বেগম এখন চরম অসুস্থ। ঠিকমত কাজ করতে পারেন না। করোনাভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে করে গত দু’মাস ধরে বেতন ও পাচ্ছেন না। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা।
১৮ জুলাই বিকেলে ছালেহা বেগমের সাথে কথা হয় সিলেট ডায়রির প্রতিনিধির। ছালেহা বেগম বলেন, বাবারে আমি অসহায় মানুষ। আমার আপন বলতে আমি ছাড়া কেউ নেই। টাকার অভাবে চরমভাবে সমস্যায় পড়েছি। ঔষধ কেনার টাকা নেই। আমার খুবই করুন অবস্থা। কেউ যদি একটু সাহায্য করতো, তাহলে ঔষধ কিনে খেতে পারতাম। তোমরা আমারে সাহায্য করো।
গত দু’মাসের বেতনের টাকা ছালেহা বেগমকে কেন দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে স্কুলটি বন্ধ থাকায় স্কুলের ফান্ডে আর্থিক সমস্যা রয়েছে। এজন্য অনেকেরই বেতন বকেয়া পড়েছে। তবে ছালেহা বেগমকে আমার সার্বিকভাবে সহায়তা করছি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি