সব
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান-এর মৃত্যুর ঘটনাটি আমাদের এখনো শোকাহত করে রেখেছে। তাঁর মৃত্যুর পরপরই আমি নিজ থেকে ইচ্ছা পোষন করেছিলাম একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ও নগরবাসীর সেবক হিসাবে তাঁকে স্মরণীয় করে রাখতে। গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাওয়ায় তখন বলেছিলাম, সিসিকের পক্ষে একটি উদ্যোগ নেব। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে নগরীর সিটি পয়েন্টকে নতুন নামকরণ ‘কামরান চত্বর’ ঘোষণা করার মৌখিক প্রস্তাব আসে।
সিটি পয়েন্ট বা নগর চত্বরে নামকরণের আরও প্রস্তাব ছিল উল্লেখ করে মেয়র বলেন, মরহুম জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান, সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আ ফ ম কামাল, মরহুম এনামুল হক চৌধুরী বীরপ্রতীক, আওয়ামী লীগের নেতা মরহুম ইফতেখার হোসেন শামীম ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রথম মারা যাওয়া সিলেটের চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনসহ গুরুত্ব ব্যক্তিদের নামকণের প্রস্তাব আসে।
সিসিক মেয়র বলেন, কামরান ভাইয়ের পরিবার থেকে (তাঁর ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু) প্রস্তাব আসে কোন প্রতিষ্ঠানকে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নামে নামকরণ করার। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সিসিকের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এনিয়ে কোন আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। ২৮ জুলাই সিসিকের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। সিদ্ধান্ত হলে মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো।
সিসিক মেয়র আরো বলেন, সিটি পয়েন্ট বা নগর চত্বর নগরীর কেন্দ্রস্থলের একটি ট্রাফিক আইল্যান্ড। এখানে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে সিগনাল করার ব্যবস্থা রয়েছে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে এখানে দেশে ও বিদেশে সিলেটের প্রতীকখ্যাত ঐতিহ্যবাহি স্থাপনার আদলে একটি নান্দনিক স্থাপনা নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে উন্মোচন করা হয়েছে। নতুন কোনো নামকরণ করা হয়নি। প্রস্তাবিত নামকরণগুলো বিবেচনায় রেখে সংশ্লিষ্টদের অনুমোদন সাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ স্থানটির নামকরণ হোক, এটাই আমার প্রত্যাশা।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি