সব
সুনামগঞ্জ দোয়ারারের সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ানের সার্টিফিকেট নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের লাইব্রেরিয়ানের সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগে করেন মানবাধিকার কর্মী মো. নুরুজ্জামান।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতিলকৃত সার্টিফিকেট ব্যবহার করে স্থানীয় সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক রুকনুজ্জামানের স্ত্রী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরী নেন তাহমিনা আক্তার।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজাদুর রহমান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তকে উপস্থিত রেখে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু রায়হান, সমুজ আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সলিলেন্দ্র বাবু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রজ লাল দে, গভর্নিং বডির সদস্য, বিনয় ভূষণ পুরকায়স্থ, জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য বিষয়টি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত হওয়ায় সার্টিফিকেট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
সহকারী অধ্যাপক রুকনুজ্জামানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।
অভিযোগকারী নুরুজ্জামান বলেন, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০০৬ সালে বাতিল করা হয়। এরপর বাতিলকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে অবৈধ পন্থায় লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরী নেয় তিনি। একই প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সার্টিফিকেটে টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজনের চাকুরী হলেও পরে সেই শিক্ষকের চাকুরী হারাতে হয়েছে। শুধু তাই নয় একই প্রতিষ্ঠানের দুটি সার্টিফিকেটে নানা গড়মিলও রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, তদন্ত করেছি, অনেক অসংগতি রয়েছে। আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না, তবে একটা প্রতিবেদনসহ যাচাই বাছাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরের সকল তথ্য পাঠিয়ে দিব। বোর্ড কর্তৃক যাচাই বাচাই শেষে উনারা সিদ্ধান্ত নিবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি