সব
বাংলাদেশে একদিনে ৩ হাজার ২০১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৬ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৫২৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬ হাজার ৫৪৯ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আজ সোমবার (৬ জুলাই) দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৭৩টি ল্যাব চালু করা হয়েছে। তবে সরকারি দুটি ও বেসরকারি ৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা যায়নি।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ১১ জন। এযাবত মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬৫৭ জন এবং নারী ৪৩৯ জন। পুরুষদের মারা যাওয়ার অনুপাত ৭৯.০৫ শতাংশ এবং নারীদের ২০.৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুইজন খুলনা বিভাগের, চারজন বরিশাল বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, দুইজন রংপুর বিভাগের এবং দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের। ৩৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৫ দশমিক ৯৮ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
প্রায় একমাস পর মৃতের সংখ্যা ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। গত ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন। আর গতকাল রোববার (৫ জুলাই) মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২ হাজার।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি