দেশের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বড় পরিসরে প্রাণীদেহে প্রয়োগ শুরু

ddddd;
  • প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০, ৬:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

প্রাথমিক সফলতা লাভের পর বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটি এবার বড় পরিসরে প্রাণীর দেহে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ছয় থেকে সাত সপ্তাহের মধ্যে এই পরীক্ষা শেষে টিকাটি মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতির জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে জমা দেওয়ার কথা জানান গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া ড. কাকন নাগ।

আজ রবিবার (৫ জুলাই) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে গবেষক দলের পক্ষ থেকে এসব জানানো হয়।

করোনা মহামারি থেকে মানব জাতিকে বাঁচাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ডক্টর কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে বিজ্ঞানী দল টিকা আবিষ্কারের প্রথম ধাপের সফলতার কাছাকাছি পৌঁছেছে।

প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচটি খরগোসের উপর টিকাটি প্রয়োগে অ্যান্টি বডি হওয়ার সফলতা পেয়েছেন তারা। পরের ধাপে মানব দেহে টিকাটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে বিধি বিধান মেনে এবার বড় পরিসরে প্রাণীর শরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডক্টর কাকন নাগ বলেন, আমাদের প্রোটোকল ইতোমধ্যে স্টাইলিশ হয়েছে, আমরা ওখানে যাচ্ছি। এর মূল উদ্দেশ্য ডোজটাকে আইডেন্টিফাই করা। কোন ডোজটা কার্যকরী ও নিরাপদ ডোজ করা সে বিষয়ে একটা প্রটোকল তৈরি করব। সেটা সিআরওকে পাঠাবো। তারা তাদের মতো করে ডাটার উপর ভিত্তি করে ওনারা ডিএমআরসিতে পাঠাবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনেই গবেষণা চলছে বলে জানান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান অপারেশন অফিসার ডক্টর নাজনীন সুলতানা। তিনি বলেন, চাইনিজ যারা আছেন, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন। আমরা যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছি সেটা হচ্ছে আমাদের দেশে যে জেনেটিক মডিফাইড হয়েছে, সেই ভাইরাস থেকে যতটুকু নিলে আমাদের শরীরে সমস্যা হবে না। সেই টুকু নিয়ে আমরা ভ্যাকসিন করেছি।

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক টিকার জন্য উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে না থেকে সুযোগ ও সহযোগিতা পেলে দেশেই সম্ভব তা দেখিয়ে দিলো বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। যদিও মানব শরীরে পরীক্ষাসহ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পারি দিতে হবে অনেকটা পথ। অদম্য বিজ্ঞানীরা প্রত্যাশা করেন ওষুধ প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন মহলের আন্তরিক সহযোগিতার। ভ্যাকসিন নিয়ে বিজ্ঞানীদের এ প্রাপ্তিকে সফলতার প্রথম সিঁড়ি হিসেবে দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।)

এ বিষয়ে ইইডিসিআর এর উপদেষ্টা মোস্তাক হোসেন বলেন, আমরা মনে করি দেশের বিজ্ঞানীদের চেষ্টা সফল হোক। এজন্য যে ধাপ আছে তারা অতিক্রম করবেন বলে মনে করছি। যত বেশি টিকা আমরা পাবো, অগ্রাধিকার পূরণ করে সাধারণ মানুষের জন্য টিকা প্রয়োগ করতে পারব। এজন্য আমাদের অনেকগুলো অপশন খোলা রাখতে হবে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষক দলের টিকাটি ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করার উপযোগী করে বানানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি