সব
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) গুলশান করপোরেট শাখার দুই কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সোমবার সকাল ১১টার দিকে তাকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আনা হয়।
দুদকের একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত ১০ আগস্ট দুদকের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাহেদের।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ গত ৬ আগস্ট আসামি সাহেদকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক সাহেদকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন দুদককে।
গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্টের হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হাসপাতাল থেকে জব্দ করা হয় ভুয়া করোনা রিপোর্ট। পরদিন র্যাব বাদী হয়ে উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলা করে। গত ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর পৃথক পাঁচটি মামলায় ঢাকা ও সাতক্ষীরার পৃথক দুটি আদালত সাহেদের ৩৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৫ সালে ফারমার্স ব্যাংকের ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক রফে বাবুল চিশতী চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।
এর আগে গত ২২ জুলাই এনআরবি ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি