সব
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দলই চা বাগান অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবিতে শমশেরনগর চা বাগানে চা ছাত্র-যুব পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (২ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় শমশেরনগর চা বাগানের চাতলাপুর সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীনের সভাপতিত্বে ও চা ছাত্র যুব পরিষদেও সমন্বয়কারী সজল কৈরীর পরিচালনায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালীর সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা, জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস, নারী নেত্রী মেরি রাল্ফ, ছাত্রনেতা কৃষ্ণ রাজভর, চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত কানু, বাবুল মাদ্রাজী, গোপাল গোয়ালা, ইরাজ মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্রম আইন লঙ্গন করে দলই চা বাগান কোম্পানী ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় নোটিশ দিয়ে চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছে। যা সম্পূর্ণরুপে বেআইনী।
এ বিষয়ে গত ২৯ জুলাই বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রশাসন, চা বাগান মালিক পক্ষ, চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলা দেশীয় চা সংসদ প্রতিনিধি, শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম কর্মকর্তা, চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, ধলই চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সমন্বয়ে জরুরী বৈঠক হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমানও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘন্টা চলা বৈঠকে শুধুমাত্র দলই চা বাগান কোম্পানীর অসহযোগিতায় কোন সমাধান ছাড়া বৈঠক মুলতবি হয়। আগামী ৪ আগষ্ট মুলতবি বৈঠকে দলই চা বাগান খোলা সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলে আগামীতে চা শিল্পাঞ্চলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালী সূত্রে জানা যায় পর্যায়ক্রমে সবগুলো চা বাগানে প্রাথমিকভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা আন্দোলিত হচ্ছে। আগামী ৪ আগষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চার পক্ষীয় বৈঠকে দলই চা বাগান খোলার কোন সিদ্ধান্ত না হলে চা শিল্পাঞ্চলের কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে বলে চা শ্রমিক, ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দরা জানান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি