সব
পরিবেশ বিদ্ধংসী মেশিনের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নেমেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সুরমা নদীর তীরে অভিযান চালানো হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার কদমতলী ফেরীঘাট, কুচাই ও মিরেরচক-মুক্তিরচক এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মো. মেজবাহ উদ্দিন।
এসময় অবৈধভাবে পাথর পরিবহন করায় দুটি বাল্কহেড জাহাজ বিকল করা হয় এবং ৩০ টি ডিজেল ইঞ্জিন, ২৩ টি ছোট-বড় ক্রাশার মেশিন ও আনুসাঙ্গিক দ্রব্যাদিসহ মোট ১ কোটি ১২ লাখ টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি ১ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। সেগুলো আজ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্র।
অভিযান শেষে পরিবেশ বিদ্ধংসীদের কড়া হুশিয়ারি জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুরমা নদীর তীরে এভাবে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলছে। আমি গত ৬ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে যোগদান করি। যারা সিলেটের হিতাকাঙ্খীরা আমাকে জানান এখানে অবৈধভাবে বালু পাথর মজুদ, প্রক্রিয়াজাত ও পরিবহন করা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের স্থানীয় প্রশাসনের মাথার উপরে জেঁকে বসেছিলো। আমার কাছে মনে হয়েছে কাজটা করা দরকার। বিশেষ করে আবাসিক এলাকায় ক্রাশার মেশিন বসিয়ে একটি অসুস্থ পরিবেশ তৈরি করেছেন তাদের প্রতি একটি বার্তা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই অভিযান। কোনো ব্যক্তি আইনের ব্যত্যয় করে টিকে থাকতে পারবে না। সে যে ই হোক না কেনো। ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান সব জায়গায় পরিচালনা করব আমরা। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসন, সিলেট ও পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় অফিসের সমন্বয়ে এ জাতীয় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি