সব
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার এলাকার কুতুবপুর গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের ইটের আঘাতে বৃদ্ধ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে রাত ১০ টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুন নেছা আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কন্দর আলীর স্ত্রী এবং ঘাতক মেয়ে হালিমা বেগম (২২) আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কন্দর আলী ও মৃত সফিকুন নেছা দম্পতির মেয়ে হয়। ঘাতক হালিমা বেগম ২ সন্তানের জননী ও ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত মোছা. সফিকুন নেছার মেয়ে হালিমা বেগম (২২) বছরের বেশীর ভাগ সময়ই ভারসাম্যহীন থাকে। বিগত ৩-৪ বছর পূর্বে হালিমা বেগমকে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার কামলাবাজ গ্রামে আলী নুর এর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর বেশীর ভাগ সময়ই মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় হালিমা বেগম তার বাবার বাড়ি আক্তাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিল।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টায় তার মা মৃত মোছা. সফিকুন নেছা হালিমা বেগমের রাতের বিছানা গুছিয়ে খাবার দিতে গেলে লোহার শিকলে বাঁধা হালিমা বেগম পাশে থাকা ইট দিয়ে তার মা সফিকুন নেছার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে সফিকুন নেছার মাথার মগজ থেঁতলে বেরিয়ে আসে।
তাৎক্ষনিকভাবে পরিবারের লোকজন মোছা. সফিকুন নেছাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মঙ্গলবার রাত ২ টায় কর্তব্যরত ডাক্তার সফিকুন নেছাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি