সব
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে পানি। টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে সুরমার পানি বেড়ে বিপদসীমার উপরে অবস্থান করলেও তা ক্রমান্বয়ে দ্রুত কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি সুরমা নদীর অববাহিকার চেয়ে পানি ধীরগতিতে নামছে হাওরের নিম্নাঞ্চলে। তাই এখনও পানিবন্ধী অবস্থায় রয়েছেন লাখো মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্র বা উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন বন্যার্ত মানুষ। বন্যার পানি কমতি শুরু হওয়ায় স্বস্তি দেখা দিলেও বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব, মলমূত্র ও রাসায়নিকের কারনে পানিবাহিত রোগসহ দেখা দিয়েছে নানান রোগের প্রাদুর্ভাব। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশুসহ পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা। এছাড়াও বন্যার সময় পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে থাকছে মৃত্যুর শঙ্কা । অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকার কারণে শ্বাসনালির প্রদাহ, ফ্লু, হাঁপানি, স্ক্যাবিস, ফুসকুড়ি, ফোড়া, মশাবাহিত রোগ বাড়ার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, স্যালাইনসহ সবরাহ ও জন্ডিস, টাইফয়েড-জাতীয় পানিবাহিত রোগ ধমনে যথেষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের সরবরাহ করতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল সেবা প্রদানের তাগাদা জানিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।
উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র উপ – সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন কবীর বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় বেশি। শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি। এক্ষেত্রে পানি বিশুদ্ধ করে পান করা, শিশুদের ময়লা পানি স্পর্শ না করানো, ময়লা পানিতে গোসল থেকে বিরত রাখ ও পায়খানা থেকে আসার পর সাবান পানি দিয়ে হাত ভালো করে ধৌতকরণ ও পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, বন্যায় কবলিত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এখান থেকে খাবার স্যালাইন থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ সংগ্রহ করা যাবে। অবস্থার অবনতি হলে রেফার নিয়ে উপজেলা হাসপাতাল ও জেলা শহরে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন বন্যার্তরা।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে কুইক রেসপন্স মেডিকেল টিম ও উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে খাবার স্যলাইন ও পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এবং উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি