সব
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা, আগে-পিছে আরও কিছু সময় মিলিয়ে ১৬ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। গত বছর অক্টোবরের ২৯ তারিখ নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হলেও জানুয়ারিতেই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন।
মাঠে নেমেই নিজেকে চেনালেন। বল হাতে প্রথম ম্যাচেই নিলেন ৪ উইকেট। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও নিলেন ২ উইকেট। সব মিলিয়ে দুই ম্যাচে হয়ে গেলো ৬ উইকেট। এই ৬ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৬৬ উইকেট।
যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই দেশের মাটিতে একমাত্র বোলার হিসেবে দেড়শ’ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন সাকিব। এবার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সামনে একটি দারুণ রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে। আর মাত্র ৬টি উইকেট হলেই বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন তিনি।
২৬৯ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হলেন সদ্য ওয়ানডে নেতৃত্ব ছাড়া মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২১৮টি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। নেতৃত্ব ছাড়লেও ওয়ানডেকে এখনও বিদায় জানাননি তিনি। যদিও তরুণদের সুযোগ দেয়ার কথা বলে মাশরাফিকে আর বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। যে কারণে, বোঝাই যাচ্ছে- মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিযান শেষই হয়ে গেলো।
সুতরাং, সাকিবই এখন রেকর্ড গড়ার পর শুধুই নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন একের পর এক। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যদি ৩টি উইকেট নিতে পারেন তাহলে ছুঁয়ে ফেলবেন কিংবদন্তি মাশরাফিকে। চার উইকেট নিলে ছাড়িয়ে যাবেন তাকে।
সাকিবের পর উইকেট নেয়ার তালিকায় আছেন ২০৭টি আবদুর রাজ্জাকের। বর্তমান স্কোয়াডের রুবেল হোসেন ১০১ ম্যাচে নিয়েছেন ১২৬ উইকেট এবং মোস্তাফিজুর রহমান ৬০ ম্যাচে নিয়েছেন ১১৩ উইকেট।
এদিকে তামিম ইকবাল দাঁড়িয়ে রয়েছেন দারুণ এক রেকর্ডের সামনে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আর মাত্র ৩ রান করলেই এই মাঠে এককভাবে ৫০০ রান সংগ্রহকারী হয়ে যাবেন লোকালবয়, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন তামিম। রান করেছেন ৪১.৪১ গড়ে ৪৯৭। অর্থ্যাৎ, আর তিন রান করলেই এই মাঠে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁবেন ৫০০ রানের মাইলফলক।
চট্টগ্রামের মাঠে তামিমের চেয়ে বেশি সফল অবশ্য ইমরুল কায়েস। তিনি খেলেছেন কেবল ৯ ম্যাচ। ৫৩.২৫ গড়ে রান করেছেন ৪২৬। বিদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলর ৫৫.০০ গড়ে ৭ ম্যাচে এই মাঠে করেছেন ৩৩০ রান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি