সব
বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অস্থিরতা। ফের আলোচনায় দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দ্বন্দ্ব। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তামিম। এবার সাকিবের পালা।
মিডল অর্ডারে তামিমকে ব্যাট করতে বলা, দৃশ্যের বাইরে থেকে রিয়াদের হঠাৎ মঞ্চে প্রবেশ, বাংলাদেশ দলে এমন কী চলছে যে বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্বই ছাড়তে চেয়েছিলেন সাকিব- সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বেসরকারি টেলিভিশন টি স্পোটর্সে দেওয়া সাকিবের সাক্ষাৎকারে।
যদিও এরইমধ্যে ছোট একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে টেলিভিশন চ্যানেলটি। যেখানে সাকিব বলেছেন, দলের প্রয়োজনে যে কেউ যে কোনো জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত। ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের পোস্টার বয়।
এর আগে বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপে দল থেকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিজের নাম সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান তামিম।
এমনকি গত ৩-৪ মাস ধরে একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে তার ওপর সবকিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় তামিম জানান, দলের ফিজিও রিপোর্ট থেকে শুরু করে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি ৫ ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি। অথচ, মিডিয়াতে কে বা কারা এই বার্তা ছড়িয়েছে। জানান, শরীরে ব্যথা থাকলেও পুরোপুরি ফিট ছিলেন বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য।
ফিজিও রিপোর্ট পাবার দুদিন পর তামিমের কাছে বোর্ডের টপ লেভেল থেকে ফোনকল আসে। সেই বোর্ড কর্মকর্তা ফোনে তামিমকে বলেন, বিশ্বকাপে গেলেও আফগানিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচ না খেলার জন্য। আর খেললেও, ব্যাট করতে হবে লোয়ার অর্ডারে।
তামিম ইকবাল অবাক হন আফগানিস্তানের সাথে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করার পরিকল্পনার কথা শুনে। বোর্ডের টপ লেভেলের সেই কর্মকর্তার কথা নিতে পারেননি তিনি। তাই কিছুটা উত্তেজিতও হয়ে যান তামিম।
তামিম মনে করেন, তাকে জোর করে প্রতি পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমন ভাবনা থেকেই বোর্ডের টপ লেভেলের সেই কর্মকর্তাকে জানান, বোর্ডের এমন পরিকল্পনা থাকলে তাকে বিশ্বকাপে পাঠানোর দরকার নেই। বলেন, এমন নোংরামির সাথে থাকতে চান না তিনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি