জৈন্তাপুরে বিজিবি কর্তৃক শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

নাজমুল ইসলাম, জৈন্তাপুর;
  • প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০, ২:২০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৫ বছর আগে

সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প কর্তৃক নৌকা আটকের ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করেছে নৌকা শ্রমিকরা, নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার, লালাখাল ক্যাম্পের বিজিবি’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায় সহ চোরাকারবারীদের সহযোগিতা করার অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদীর লালাখাল খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা হতে ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্পের জোয়ানরা ৯ আগষ্ট রবিবার সকাল ৯টায় তিনটি নৌকা আটক করে নিয়ে যায়। এসময় তারা কয়েকজন শ্রমিককেও মারধর করে। এ ঘটনায় উপজেলার পাখিবিল নাবিল, আব্বাস ও নয়াগ্রাম ও কালিঞ্জি গ্রামের শাহিন, কালা মিয়া, জহির উদ্দন, সোহাগ, সালমান সাদিক আফসর ও আফজল সহ আরোও শ্রমিক আহত হয়েছে।

এঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ও নৌকা মালিকরা নৌকা ফেরত দিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ফেরীঘাট এলাকায় বিকাল ৩টা হতে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার সেকেন্ড ইন কমান্ড তপন কান্তি, এস.আই প্রদীপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের শান্ত করেন এবং স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য মুরুব্বিদের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে, নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে।
অপর দিকে সড়ক অবরোধের ফলে যাত্রীবাহি বাস, লেগুনা, হিউম্যান হুলার, রোগী বহনকারী গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, মালবাহি ট্রাক, পিকআপ অবরোধে আটকা পড়ে জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় লালাখালের নৌকা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আমির আলী বলেন, ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প প্রতিদিন থেকে সন্ধ্যা রাত হতে ভোর রাত পর্যন্ত লালখাল জিরো পয়েন্ট লাইনম্যান আনোয়ার এবং বিজিবি’র সদস্যরা সরাসরি উপস্থিত থেকে বালুবাহি নৌকা প্রতি ৪শত হতে ৫শত এবং পাথরের নৌকা থেকে ৯শত হতে ১হাজার টাকা প্রকাশ্যে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। দিনের বেলা পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় দিনে তারা কঠোর অবস্থান নিয়ে কোন নৌকা জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতায়াত করতে দেয় না। রাত হলে লুটপাট অব্যাহত থাকে। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের পারফমেন্স দেখাতে দিন দুপুরে ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকা ধরে নিয়ে যায় এবং শ্রমিকদের মারধর করে।

তারা আরোও জানান লালাখাল ক্যাম্পের বিজিবি’র লাইনম্যানদের মাধ্যমে উৎকোচ নিয়ে ভারতীয় নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, কসমেটিক্স সামগ্রীসহ ভারতীয় গরু, মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেগুলো তারা আটক করেনা বরং বিভিন্ন সময় তারা নিরিহ শ্রমিকদের নৌকা ধরে নিয়ে নির্যাতন করে।
এ ব্যপারে ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প কমান্ডারকে ফোন দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করে উর্দ্ধতন র্কৃপক্ষের সাথে কথা বলতে জানান।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি