জৈন্তাপুরে বালু মহালে চাঁদাবাজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০, ১:৫৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

পরিবহণ শ্রমিকদের দৌরাত্বের কারণে সিলেটের জৈন্তাপুরের বালু মহালগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। নিয়মানুযায়ী জেলা প্রশাসন বালু মহাল ইজারা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কতিপয় স্বার্থান্বেষি মহলের ষড়যন্ত্রে বরাবরই তা ভেস্তে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তিনটি মহাল ইজারা দিলেও বালু মহাল নিয়ে গুটি কয়েক পরিবহণ নেতার চাঁদাবাজি ও ধর্মঘটের নৈরাজ্যের কারণে কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রয়েছে।

এ দিকে ৬দিন পরিবহণ ধর্মঘট শেষে গতকাল রোববার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে পরিবহণ শ্রমিকরা র‌্যয়ালিটি না দিয়ে জোর পূর্বক বালু নিয়ে যাচ্ছেন বলে ইজারাদার শাহীন আহমদ জানান। তিনি অভিযোগ করেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন আলী কোন প্রকার সহযোগিতা করছেন না।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন মাসে জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলার ‘সারি নদী ১-২ ও বড় গাং বালুমহাল’ মেসার্স এস এ এন্টারপ্রাইজ ইজারা নেয়ার পর গত ৭ আগষ্ট ইজারাদারকে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে দখল সমজিয়ে দেয়। ওইদিন সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভিণ, ভূমি কর্মকর্তা ফারুক আহমদ।

এসময় তারা সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্থান হিসেবে সরুফৌদ এলাকার উৎসমূখ নির্দিষ্ট করে দেন। এরপর থেকে বালুর গাড়ি থেকে সরকারি রাজস্ব আহরণ শুরু করে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকারি এই রাজস্বকে পরিবহণ থেকে চাঁদা উত্তোলনের গুজব ছড়িয়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে একটি চক্র।

এদিকে ওই চক্রের নৈরাজ্যের প্রতিকারে গত ২০আগষ্ট জৈন্তাপুর ১৭পরগণা শালিস কমিটি একটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে তারা নৈরাজ্যকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে বালু মহাল ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শাহীন আহমদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় তিনটি বালু মহাল ইজারা নেয়ার পর একটি চক্র তার কাছে বড় অংকের চাঁদা দাবি করে। সেই চাঁদা না দেয়ার তারা সরকারি রাজস্ব আদায়ে বাধা ও রাস্তায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, সরকারের রাজস্ব আদায়ে একটি মহল বাধা সৃষ্টি করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন চাঁদা আদায় বাণিজ্য নিয়ে ভাইরাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে সরকারি নিয়মনীতিকেও তোয়াক্ষা করছেনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন বলেন, আপাতত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আলোচনাক্রমে ইজারা দেয়া মহালগুলো থেকে পূণরায় বালু উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি