সব
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এক সময়ের জৈন্তিয়া স্বাধীন রাজ্যের ইতিহাসের অনেক পূরাকীর্তি। কিন্তু দখলদার বাহিনীর কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রত্নতাতিক এসব নিদর্শন। জৈন্তারাজ্যের অন্যতম নির্দশন বড় দেউল‘র ভূমি দখল করে রাতের আধাঁরে দোকান ঘর নির্মাণ করছে ভুমি খেকো পরিবার। এটি রক্ষার দাবী জানিয়েছেন জৈন্তাপুর পূরাকীর্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটি।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী জৈন্তাপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে জৈন্তাপুর স্কুল রোড সংলগ্ন জৈন্তারাজ্যের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংসাবশেষ বড় দেউলের সম্মুখের কিছু জায়গা নিজেদের দাবী করে ভূমি খেকো পরিবার দখল করে টিনের বেড়া দিয়ে রাতের আধাঁরে দোকান ঘর নির্মাণ করছে।
এদিকে বড় দেউলের ধ্বংসাবশেষ ভেঙ্গে দোকান ঘর নির্মানের বিষয়টি জৈন্তাপুর পূরাকীর্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান, সংবাদ পাওয়ার পর পর ঘটনাস্থলে পৌছে আমি দোকান ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সমন্বয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
জৈন্তাপুর পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জৈন্তিয়ারাজ্যের ঐহিত্যবাহী পুরাকীর্তি নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রতিনিয়ত একটি চক্র বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে এগুলো দখল করছে। বড় দেউল একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। যা ধ্বংশের পর হতে এভাবেই ইতিহাস হয়ে পড়ে আছে। কি কারনে ভূমি খেকোচক্র এখানে দোকান ঘর নির্মাণ করছে তা বুঝে উঠতে পারছি না।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন এবং ঐহিত্যবাহি পুরাকীর্তি স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করার দাবী জানান তিনি। প্রশাসন যদি কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে আমরা বড় দেউল সহ জৈন্তাপুরের পুরাকীর্তি সমুহ রক্ষার জন্য পুরাকৃর্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচীর ডাক দেয়া হবে।
তবে ভূমি দখলকারী পরিবারের অঞ্জনা জানান, আমরা রাশেল আহমদ নামের ব্যাক্তির কাছ থেকে ৩শতক জায়গা কিনেছি। ক্রয়কৃত ভূমিতে আমরা দোকানগৃহ নির্মাণ করছি। আমরা প্রত্নতত্ত্ব এর ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ সরিয়েছি মাত্র।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি