সব
জৈন্তাপুরে শালি-দুলাভাইয়ের কু-কর্মে নদীতে ভাসল নিস্পাপ এক নবজাতক শিশু। নরপশু এই রাজমিস্ত্রীকে আটক করেছে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের নয়াবাড়ী গ্রামে। এব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৪, তাং ২৯/০১/২০২১ইং।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মৃত ফাজিল মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া (২২) জৈন্তাপুর উপজেলার ঢুলটিরপাড় গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে রহিমাকে বিয়ে করে বিগত দুই বছর আগে। বিয়ের পর থেকে গোলাপ মিয়া স্ত্রী রহিমা ও শালি রাহেলা বেগমকে নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন উপজেলা সদরের নয়াবাড়ী গ্রামের আবু তাহের’র বাড়ীতে। স্ত্রীর অজান্তে গোলাপ মিয়া এক রকম জোরপূর্বক অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন শালি রাহেলা বেগমের সাথে এবং এক পর্যায় রাহেলা বেগম গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
গত ২৫ জানুয়ারী গোলাপ মিয়া রাহেলাকে সবার অজান্তে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বাচ্ছা প্রসব করায়। এর পর জীবিত বাচ্চাকে হত্যা করে মহিলাদের ব্যবহৃত একটি ভ্যানেটি ব্যাগে রক্ষিত করে স্থানীয় বড়গাং নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ২৮ জানুয়ারী উপজেলা সদরের সন্নিকটে লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের পাশে বড়গাং নদীতে ভ্যানেটি ব্যাগটি ভাসমান দেখতে পায় স্থানীয় জনতা। সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাগটি উদ্ধার করে এবং ব্যাগের ভেতরে একটি মৃত ছেলে সন্তান দৃশ্যমান হয়। তার পর পুলিশ শিশুটির ময়না তদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের জন্য সিলেটে প্রেরণ করে। অপরদিকে ভ্যানেটি ব্যাগের ভিতরে টেইলারি দোকানের একটি পুরনো স্লিপ পাওয়া যায়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই আজিজ আহমদ এই স্লিপের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে নবজাতক শিশুর জন্মদাতা নরপশু গোলাপ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। শুত্রুবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের নয়াবাড়ীস্থ আবু তাহের’র বাসা থেকে গোলাপ মিয়াকে আটক করা হয় এবং প্রাথমিক পর্যায় সে পুলিশকে এতসব ঘটনার স্বীকার করেছে।
এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই আজিজ আহমদ জানান, ব্যাগের ভিতরে থাকা টেইলারের স্লিপ’র মাধ্যমে তাৎক্ষনিক খোজাখুজি করে আমরা তাকে আটক করেছি। অন্যদিকে অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমরা ঘটানার সাথে সাথে সিলেটের পুলিশ সুপার’র সঙ্গে আলাপ করি এবং ধর্ষণ ও শিশু হত্যার দায়ে মামলা প্রস্তুত করি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি