সব
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদসহ নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। রোববার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের অন্য জেলা থেকে সিলেটের সাংবাদিকরা অনেকটা ইতিবাচক। তাদের কাছে নেগিটিভের কোনো স্থান নেই। এজন্য সিলেটের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। তবে কিছু নাম সর্বস্ব অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেন। এসব বন্ধে জেলা প্রেসক্লাবসহ সিনিয়র সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সঠিক ও সুষ্ঠু ধারার সাংবাদিকতার জন্য পেশাদার সাংবাদিকদের দায়িত্ব নিতে হবে। যেকোনো ভালো কাজে জেলা প্রেসক্লাবের পাশে জেলা প্রশাসন সবসময় থাকবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সিলেট পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় জেলা। এ জেলায় অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। ফলে পর্যটন থেকে অর্থনীতির চাকা ঘুরানো সম্ভব। সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া চেরাপুঞ্জি ইমিগ্রেশন খুলে দিতে ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যায় খুব শিঘ্রই তা বস্তবায়ন হবে। আর সেই ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটকরা সহজে যাওয়া আসা করতে পারবেন।
এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেট একটি আধ্যাতিক রাজধানী। তবে সেখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতা আনা যাবে না। সিলেটকে একটি অসাম্প্রদায়িক জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আল আজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। সাংবাদিকরা সরকারের গঠনমুলক সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। তিনি বলেন, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিউজ করে এটিকে সংবাদমাধ্যম পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তারা নানা ধরণের ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করা অন্যায়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকষর্ণ করেন তিনি।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিলেটে সাংবাদিকতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এখানের সাংবাদিকরা সৎ, সাহসী ও নির্বিক। তারা গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। এই করোনাকালে জেলা প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির নিউজের সাথে ছবি এবং ভিডিও সংযুক্ত করা প্রয়োজন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে জেলা প্রশাসনকে উদারভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।
ছামির মাহমুদ বলেন, সিলেট একটি পর্যটননগর। তাই পর্যটন এলাকাগুলোতে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোদার করা গেলে এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। এর ফলে সিলেটের অর্থনীতিও বড় হবে। পাশাপাশি বেকাত্বও কমে আসবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান, সহকারী কমিশনার শাম্মা লাবিবা অর্ণব ও ফজলে ওয়াহিদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এস. সুটন সিংহ, সহ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দীন আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক শংকর দাস, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. সুলতান আহমদ (সুলতান সমুন), পাঠাগার সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন খান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইউসুফ আলী, মিঠু দাস জয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি