সব
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজারে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চান সাবেক বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম। তিন বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন মো. নূরুল ইসলাম। তার সভাপতিত্বে বিএনপির একাধিক সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সুযোগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী রাজনীতিতে যোগ দেন নূরুল ইসলাম। সুনামগঞ্জ এবং ছাতকের জনাকয়েক আওয়ামী লীগ নেতাকে আত করে নূরুল ইসলাম বাগিয়ে নেন জাউয়া বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ। বর্তমানে তিনি পুরোদস্তর আওয়ামী লীগ নেতা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আওয়ামী লীগে আসা নুরুল ইসলামই নৌকার প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ জন্মেছে সাধারণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনে। দলের যোগ্য, প্রবীণ এবং পারিবারিকভাবে আ্ওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত নেতাদের বাদ দিয়ে হাইব্রীড নুরুল ইসলামকে মনোনয়নের তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ দলীয় নেতাকর্মীরা। সিলেট ডায়েরীর কাছে সংরক্ষিত ১৯৯৫ সালের ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাউয়া বাজার ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের একটি সভার নথি সংরক্ষিত রয়েছে। ওই নথিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নূরুল ইসলাম। জাউয়া বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন সামসুল কবীর, মো. তজম্মুল, সিরাজুল ইসলাম, আবুল হোসেন, সুজন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সো. নূর মিয়া, ফজলুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, জমসিদ আলী প্রমুখ। উপস্থিতি স্বাক্ষরের সেই নথির নিচে সভাপতি হিসেবে রয়েছে মো. নূরুল ইসলামের স্বাক্ষর। এই নূরুল ইসলামই বর্তমানে জাউয়াবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি জানান, বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে এই নূরুল ইসলামদের কারণে আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি নি। এখন তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আবার নৌকার প্রার্থীও। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ত্যাগী এবং প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার দাবি জানান ওই নেতা।
এব্যাপারে নূরুল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এগুলো সব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ বলে দাবি করেন।তিনি জানান তিনি কোনো সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না।তিনি সুনামগঞ্জ ৫ আসনের মাননীয় এম পি মুহিবুর রহমান মানিকের সাথে সর্বদাই আওয়ামি লীগের রাজনিতে করে আসছেন এবং তথ্যাবদায়ক সরকারের আমলে তিনি অনেক নির্যাতন নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন।তিনি জানান ১৯৯১ ও ১৯৯৭ তে তিনি চেয়ারম্যানি নির্বাচন করে পরাজিত হন।পরবর্তীতে তিনি ২০১১ সালে চশমা প্রতিক নিতে নির্বাচন করে ৮৮৮ ভোট বেশী পেয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেন।এবং ২০১৬ সালে পুনরায় নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামি লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জনাব মুরাদ সাহেবের সাথে নির্বাচন করে ৬২ ভোটে পরাজিত হোন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি