জমে উঠেছে সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব

সিকৃবি প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২ বছর আগে

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে গত শুক্রবার শুরু হয়েছে পঞ্চম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব। স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে এ উৎসব আয়োজিত হচ্ছে।

আজ শনিবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন। দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, দর্শক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে এবারের আসর। আজ সারাদিন দেশি-বিদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলিয়ে ৪০ টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। তার মধ্যে ছিলো দ্যা লাস্ট রেইন, দ্যা পারসুইট অফ লাইফ, এ উইনার, টু লাইভস, মিরাকেল ইন হেভেন, এলভিস, আরশি, হেভেনসহ আরো বেশ কিছু স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র।

নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি “রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টরি” শিরোনামে দুই ধাপে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। প্রথম সেশনে রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টরির প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ফরিদ আহমেদ। সকাল ১০.৩০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টরির বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে আলোচনা চলে। পরবর্তীতে দুপুর ২.৩০ থেকে ৩.৩০ পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশনে রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টরি ফিল্ম নিয়ে মুক্ত আলোচনা হয়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তিলক চন্দ্র নাথ, গবেষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাগুন ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ফরিদ আহমেদ।

আলোচকরা ‘রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টরি ফিল্ম’ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, “রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টরি ফিল্ম এমন চলচ্চিত্র যেখানে কাহিনি, ঘটনাবলী এবং চরিত্রের উপর ভিত্তি রেখে সঠিক তথ্য বা তথ্যসূত্রের উপর নির্ভর করে। ডকুমেন্টরি ফিল্মগুলি গবেষণা, ইতিহাস, সামাজিক বিষয়াবলি, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও আরও অনেক বিষয়ে ভিত্তি রেখে তৈরি হয়। এই ফিল্মগুলি সাধারণভাবে বিশেষজ্ঞদের সাথে সাক্ষাৎকার, বিশেষজ্ঞদের গবেষণা প্রক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ ও আরও অনেক উপাত্ত ব্যবহার করে তৈরি হয়। এই ফিল্মগুলির মাধ্যমে দর্শকেরা বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং এই ফিল্মগুলির মাধ্যমে সমসাময়িক সমস্যাগুলি সম্পর্কে বেশি জানতে পারে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে, সম্প্রতি ডকুমেন্টরি ফিল্মগুলি প্রায়শই ভিন্ন ধরণের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়, যেমন স্ট্রিমিং সাইট, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এবং চলচ্চিত্র ফেস্টিভালে। এছাড়াও ডকুমেন্টরি ফিল্ম সমাজে জ্ঞানের গভীরতা এবং উপজীবনের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে এবং রিসার্চ প্রক্রিয়া প্রদর্শন করে তাদের নিজেদের মন্তব্য এবং অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন আলোচকরা।”

উল্লেখ্য, এবারের আসরে বিশ্বের ১১১ টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩০৬৫ টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে । যার মধ্যে থেকে বাছাইকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলেয়ে মোট ১০৬ টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি, ভিএফএক্স প্রোডাকশন ম্যানেজার ওয়াহিদ ইবনে রেজা, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি