জগন্নাথপুরে হাইস্কুলে অতিরিক্ত ফি আদায় : অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ

শফিউল হাসান, জগন্নাথপুর;
  • প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে স্বরূপচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ফি নেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

জানা যায়, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র স্বরূপচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের এস এস সি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন স্কুলের শিক্ষকরা। সরকারের নিয়মনীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে এবং শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করায় পরিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধো মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১লা এপ্রিল) বিকালে স্কুলের এস এস সি পরিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, এবার সরকার ও বোর্ড নির্ধারিত এস এস সি পরিক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফি বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৭০ টাকা ও মানবিকে ১৮৫০ টাকা কিন্তু স্কুলের শিক্ষকরা নিচ্ছেন বিজ্ঞানে ২৪০০ ও মানবিকে ২৩০০ টাকা। তবে কোন শিক্ষার্থীদের টাকার রশিদ দেয়া হয়নি। অভিভাবকরা জানান বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে এ ধরনের অনিয়ম মেনে নেয়া যায়না। এই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষকরা পূর্ব থেকেই বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। যার কারণে কোন প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে বেশিদিন থাকেন না।

এই সুযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছায়াদ আলী সিন্ডিকেট করে স্কুল পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন সহ গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এছাড়া কিছু শিক্ষকরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্কুলে চালিয়ে যান প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য। তাদের কাছে প্রাইভেট পড়তেও বাধ্য করা হয় শিক্ষার্থীদের। প্রায় ৩ যুগ ধরে স্কলে থাকা শিক্ষক ছায়াদ আলী নানা অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ছায়াদ আলী অতিরিক্ত ফি নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত ৪০০ টাকা কেন্দ্র ফি হিসাবে নেওয়া হচ্ছে । পরিক্ষার্থীদের টাকার রশিদ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তো থাকার কথা নয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মুখলেছুর রহমান বলেন, পরিক্ষার্থীরা অবশ্য বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি রাখার কথা নয়। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকই ভাল বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদি হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান অভিযোগের আলোকে বিষয়টি দেখবো।

 

 

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি