জগন্নাথপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে বালিশচাপায় হত্যা

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২১, ৫:২৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২ বছর আগে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও (হাজী বাড়ি) গ্রামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (৯ জুন) বিকেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও (হাজী বাড়ি) গ্রামের শয়ফুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা বেগম (১৬) প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো একসময় মেয়েটির আপন চাচা রবিউল ইসলাম (৪০) সানজিদার ঘরে প্রবেশ করে তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বুধবার ভোরে মেয়েটির নিথর দেহ নিজ ঘরের বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন।

নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, শয়ফুল ইসলামের চার ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। ওই প্রবাসী নিঃসন্তান হওয়ায় মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো দেখতেন এবং সংসারের ভরন-পোষণের টাকা মেয়েটির কাছে পাঠাতেন। এ নিয়ে ভাই রবিউল ইসলামের সঙ্গে তার কিছুটা বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে এসব নিয়ে বিরোধের জের ধরে রবিউল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। গতকাল মঙ্গলবার বাড়িতে ফিরে এ ঘটনা ঘটান মেয়েটির চাচা রবিউল ইসলাম।

নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর বড় ভাই হাম্মাদ আহমদ বলেন, আমাদের ধারণা চাচাই আমার বোনকে হত্যা করে পালিয়েছেন। তার বোন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে তিনি জানান।

নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর মা সৈয়দা ছালেহা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘাতক আমার মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

 

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি