সব
জগন্নাথপুরে থানার সামনের সড়ক দিয়ে নিষিদ্ধ ভারতীয় বিড়ির চালান নিয়ে যাওয়ার সময় আটককৃত দু’জনকে আজ শুক্রবার (২৮ আগস্ট) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক দু’জন পুলিশের নিকট পরিচয় গোপন করে ভুয়া নাম-পরিচয় প্রদান করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবনগর এলাকায় অস্থায়ী জগন্নাথপুর থানা ভবনের সামনের জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৯১৪১) করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নাসির বিড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা তাদের নাম যথাক্রমে ইমন মিয়া (৩০) ও ফজলুর রহমান (২৮) বলে পুলিশকে জানান। এর মধ্যে ইমন মিয়া সিলেটের ওসমানীনগর থানার সিকন্দরপুর গ্রামের মৃত মতিন মিয়ার ছেলে এবং ফজলুর রহমান বালাগঞ্জের ইলাশপুর গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার ছেলে বলে পরিচয় দেন পুলিশকে।
এছাড়া তারা পুলিশকে জানায়, ওসমানীনগর থেকে জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে ভারতীয় বিড়ির চালান নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে ওইদিন রাতে পুলিশ জানতে পারে আটক দুই ব্যক্তি জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কাঠালখাই গ্রামের বাসিন্দা। ইমন মিয়া পরিচয়দানকারী ব্যক্তি হলেন কাঠালখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মুতলিব মিয়ার ছেলে মুক্তাকীন মিয়া আর ফজলুর রহমানের আসল নাম হলো সাজ্জাদুর রহমান। তিনিও কাঠালখাই গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম আসাদ মিয়া। আটক দু’জন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তাকীন মিয়া ও সাজ্জাদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ওসমানীনগরসহ সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারতীয় নাসির বিড়ি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। গত ১১ জুলাই ওসমানীনগর থানার পুলিশ নিষিদ্ধ ভারতীয় বিড়ির চালানসহ মুক্তাকীন মিয়ার ভাই আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদকে গোয়ালাবাজারের করনসী এলাকা থেকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছিল।
জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আমাদের থানা রোড দিয়ে নিষিদ্ধ বিড়ির চালান নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা একটি প্রাইভেটকারসহ দুইজনকে আটক করি। আটককৃতরা প্রথমে ভুয়া পরিচয় দেয়। পরে স্থানীয়দের সূত্রে আমরা তাদের আসল পরিচয় শনাক্ত করেছি।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি